মাছ-মাংসসহ বেড়েছে সব পণ্যের দাম

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ২৩ জুন ২০২৩, ৭:৩৩ অপরাহ্ণ


বেড়েই চলেছে মাছ-মাংসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল পণ্যের দাম। মাছ-মাংসের মতো বেড়েছে মুদি পণ্যের দামও। আর বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে সয়াবিন তেল ও চিনি। এছাড়া স্বস্তির ছোঁয়া নেই মসলার বাজারে। তবে সবজির দাম বাড়লেও কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম।

শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে এ চিত্র। এতে নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি জানিয়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই।

ব্যবসায়ীরা জানান, আজ ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা। পাকিস্তানি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা কেজি দরে। প্রতি কেজি দেশি মুরগি কিনতে গুনতে হচ্ছে ৪২০ টাকা। এছাড়া আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। বাজারভেদে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকায়। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা কেজি দরে।

অন্যদিকে, মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শিং মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। কৈ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৫০ টাকা। রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকায়। ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছের কাজে বিক্রি হচ্ছে ১৩০০ থেকে ১৪০০ টাকা। ছোট ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে এক হাজার টাকা। বড় চিংড়ি ৭০০ টাকা, বড় কাতল ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা, ট্যাংরা প্রতি কেজি ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকা, বোয়াল মাছ ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা, সিলভার কার্ভ (ছোট) প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, কোরবানি সামনে রেখে বেড়েছে সকল প্রকার মসল্লার চাহিদা। বাজরে জিরা বিক্রি হচ্ছে ৮৮০ থেকে ৯০০ টাকা কেজি। সপ্তাহ ব্যবধানে দাম বেড়েছে ৭০ টাকা। গত রোজার ঈদেও জিরার কেজি ছিল ৫০০ টাকা। তবে রোজার ঈদের পর থেকেই বাড়তে শুরু করেছে জিরার দাম। এছাড়া অন্যান্য মসলার দামও বাড়তি। ্দএর মধ্যে দারুচিনি ৪৪০ থেকে ৪৫০ টাকা, এলাচ প্রকারভেদে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা, গোলমরিচ ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা, লবঙ্গ ১ হাজার ৭০০ টাকা, আলুবোখারা ৮০০ টাকা, কাজুবাদাম ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা ও ধনিয়া ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।এর সঙ্গে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। গত সপ্তাহের মতো পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। রসুনও আগের দামে বিক্রি হচ্ছে। আমদানি করা এক কেজি রসুন কিনতে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা দিতে হচ্ছে। আর দেশি রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকা।

সবজি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে প্রায় সব ধরনের সবজি। এর মধ্যে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে গত সপ্তাহের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি দামে। গত সপ্তাহে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা কেজি। আজ সেই কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২২০-২৪০ টাকা কেজিতে। এক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে এক সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে ১২০-১৪০ টাকা। এছাড়া দুটি সবজির কেজি একশ টাকার ওপরে। কয়েকটির দাম একশ টাকার কাছাকাছি। মাত্র একটি সবজি পাওয়া যাচ্ছে ৫০ টাকার নিচে। এর মধ্যে প্রতি কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়, পাকা টমেটোর কেজি ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, বেগুন ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০, ঝিঙা ৭০ টাকা, পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ধন্দুল ৭০ টাকা, কাঁচামরিচ প্রতি কেজি মানভেদে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৭০ থেকে ৮০ টাকা, গুঁড়ি কচু প্রতি কেজি ১০০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, হচ্ছে। আমদানি করা এক কেজি রসুন কিনতে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা দিতে হচ্ছে বরবটি ৮০ টাকা, জালি প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৮০ টাকা, শসা ৬০ থেকে ৭০ টাকা।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...