লন্ডন -সিলেট রুটে বাংলাদেশ বিমানের ভাড়া হ্রাসের দাবীতে মতবিনিময়

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ১৬ জুলাই ২০২৩, ৪:২৮ পূর্বাহ্ণ

লন্ডন -সিলেট রুটে বাংলাদেশ বিমানের ভাড়া হ্রাসের দাবীতে ৫৩ টি সংগঠন নিয়ে লুটিলার ক্যাম্পেইনের মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃটিশ বাংলাদেশী কমিউনিটি ভয়েস এর আয়োজনে মঙ্গলবার (১১ জুন) পূর্ব লন্ডনের হারকেনস হাউস কমিউনিটি সেন্টারে যুক্তরাজ্যের ৫৩ টি সামাজিক সংগঠণের প্রতিনিধিদের নিয়ে এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ব্রিটিশ বাংলাদেশী কমিউনিটি ভয়েজ এর চেয়ারম্যান সেলিম উদ্দিন চাকলাদার এর সভাপতিত্বে ও সধারণত সম্পাদক নাসের আল আমিন ও সাবেক কাউন্সিলার ব্রিটিশ বাংলাদেশী কমিউনিটি ভয়েসের সহ সভাপতি শাহ সোহেল আমিনের যৌথভাবে সঞ্চালনা উক্ত সভায় বক্তব্য রাখেন ভয়েজ ফর জাস্টিস এর চেয়ারম্যান, সিনিয়র সাংবাদিক কে এম আবু তাহের চৌধুরী, বৃটিশ বাংলাদেশী কমিউনিটি ভয়েস এর সহ সভাপতি জামালুর রহমান, মোহাম্মদ আলী রিংকু, সহ সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ তমিজুর রহমান রজ্ঞু, কোষাধ্যক্ষ রহিম উদ্দিন, উপদেষ্টা সৈয়দ তারিক আহমদসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ। সভার শুরুতে কোরআন থেকে তেলায়ত করেন আহবাব চৌধুরী।

সভায় বক্তারা বলেন, লন্ডন-সিলেট রুটে বিমানের ভাড়া অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সিলেটী যাত্রীদের জিম্মী করে বাংলাদেশ বিমান কর্তৃপক্ষ অত্যাধিক ভাড়া আদায় করছে।

বিমানের ভাড়া এত বেশী যে যুক্তরাজ্য থেকে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বাংলাদেশে যাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে। বড় একটি পরিবারের ১০-১৫ হাজার পাউণ্ড শুধু টিকেটে দিতে হয়।

বিমান সিলেটিদের পকেট কাটার পরও লাভের মুখ দেখেনা। বিমানের ভাড়া কমানো ও ওসমানী বিমান বন্দর থেকে আরো কয়েকটি দেশের ফ্লাইট চালুর অনুমতি দিতে হবে। এ নিয়ে ব্যাপক ক্যাম্পেইন, গণ সংযোগ ও আইনী পদক্ষেপ গ্রহণের ব্যাপারে সভায় আলোচনা হয়।

বক্তারা আরও বলেন, যেখানে ইকোনোমিক ক্লাশে ভাড়া ছিলো ৭০০ পাউন্ড থেকে ৮০০ পাউন্ড এখন তা বেড়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১২০০ পাউন্ড। আবার অনেক সময় টিকেট ১৭০০ থেকে ২০০০ পাউন্ড দিয়ে টিকেট কিনতে হয়।

বয়স্ক লোক বা বাচ্চাদের নিয়ে যারা বাংলাদেশে যেতে ইচ্ছুক, তাদের অন্য কোন পছন্দ না থাকায় বাধ্য হয়ে অনেকেই অতিরিক্ত দাম দিয়ে টিকেট কিনে মা মাটির টানে বিমান ব্যবহার করেন। অধিক ভাড়ার কারণে অনেকেই আবার প্রিয় জন্মভূমিতে যেতেও সক্ষম হচ্ছেন না।

আবার অন্যদিকে বিমানের অতিরিক্ত ভাড়ার কারনে নূতন প্রজন্ম দেশে হলিডেতে না গিয়ে ইউরোপের অন্যান্য দেশে হলিডেতে চলে যায় । এতে নূতন প্রজন্ম দেশের প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে এবং আর্থিক ভাবে বাংলাদেশ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে । যুক্তরাজ্য প্রবাসী বাংলাদেশীরা বাংলাদেশে যাতায়াতে তীব্র বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে। ইউ কে বসবাস রত বাংলাদেশীদের জন্য এখন বিমানে বাংলাদেশ ভ্রমণ কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।

সাধারনত বাংলাদেশে যাতায়াতের ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য বাসি বিমানকেই অগ্রাধিকার দিয়ে থাকেন কারণ বিমানে সরাসরি সিলেট পৌঁছা যায়। অন্যান্য এয়ার লাইন্সের ভাড়া বাংলাদেশ বিমানের চেয়ে অনেক কম হলেও শুধুমাত্র সরাসরি ফ্লাইট-সুবিধা না থাকায় অনেকেই বাংলাদেশ বিমানে যাতায়াত করতে চান।

সিলেট ইনটারন্যাশনালের এয়ারপোর্ট শুধু নাম মাত্র, এটাকে বাস্তবে রূপ দেয়া সময়ের দাবি।

বক্তারা আরো বলেন, বিমান কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে কোন ফলাফল না আসে তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সাথে দেখা করে আমাদের কষ্টের কতা জানানোর জন্য।

বিমানের কান্ট্রি ম্যানেজারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। বাংলাদেশ বিমানের হেড অফিসে লিখিত ভাবে যোগাযোগ করা হয়েছে। বাংলাদেশ হাইকমিশনের সাথেও লিখিত যোগাযোগের মাধ্যমে মিটিং এর অনুরোধ জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ হাইকমিশনের সাথে মিটিং এর পরপর পরবর্তী কার্যক্রমের ডাক দেওয়া হবে।

সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, বিয়ানিবাজার জনকল্যাণ সমিতির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম, গোলাপগঞ্জ সোস্যাল এন্ড কালচার ট্রাষ্টের সভাপতি সামসুল হক ও সাধারণ সম্পাদক মো: দিলোওয়ার হোসেন, কোষাধ্যক্ষ মাসুদ আহমদ জোয়ারদার, সহ সাধারণ সম্পাদক মিছবা মাছুম, গোলাপগঞ্জ উপজেলা সোস্যাল ট্রাষ্টের সাবেক সভাপতি আব্দুল বাছিত এবং বর্তমান সাধারণ সম্পাদক তারেক সানু, গোলাপগঞ্জ এডুকেশন ট্রাষ্টের সধারণ সম্পাদক জহির হোসেন গৌছ, বিশ্বনাথ এইড এর সভাপতি আব্দুর রহিম রঞ্জু, সোনালী অতীত এর সভাপতি জামাল উদ্দিন, বিশিষ্ট কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব সাংবাদিক আব্দুল কাদির চৌধুরী মুরাদ, হাওয়া টিভির রিপোর্টার রোমানা লিটন, রিলাস্ক রেডিও রিপোর্টার্স হাফসা ইসলাম ও আমিনা বেগম, বিশিষ্ট কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব একলিম চৌধুরী, কামাল উদ্দিন, রায়হান উদ্দিন সহ অনেক।

উপস্থিত সকল সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ব্রিটিশ বাংলাদেশী কমিউনিটি ভয়েজকে সমর্থন জানান এবং ঐক্যবদ্ধ ভাবে আন্দোলন করার অঙ্গীকার করেন।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...