সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সম্পাদকের কক্ষে ভাঙচুর ও আওয়ামী লীগপন্থি আইনজীবীদের ওপর হামলার অভিযোগ এনে বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামালসহ ১৮ আইনজীবীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাজধানী শাহবাগ থানায় সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সহকারি সুপারিনটেনডেন্ট মো. রফিকউল্লাহ বাদী হয়ে এ মামলা করেন। ওই ঘটনায় সন্ধ্যায় মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ।

তিনি জানান, সম্পাদকের কক্ষ ভাঙচুরের ঘটনায় কায়সার কামাল ছাড়াও সমিতির সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, রুহুল কুদ্দুস কাজল, জাতীয়তাবাদি আইনজীবী ফোরামের নেতা গাজী কামরুল ইসলাম সজল, কাজী মোস্তাফিজুর রহমান আহাদ, নূরে আলম সিদ্দিকী সোহাগ, মো. কাইয়ুম, মো. সাগর হোসেন, মো. রেজাউল করিম রেজা, মো. উজ্জল হোসেন, মাহবুবুর রহমান খান, রবিউল আলম সৈকত, মো. নজরুল ইসলাম ছোটন, রেদোয়ান আহমেদ রানজিদ, মো. মাহমুদ হাসান, মো. কামাল হোসেন, মো. আনিসুর রহমান ও খালেদ মাহমুদুর রহমান আদনানকে আসামি করা হয়েছে।

এছাড়াও অজ্ঞাত ৪০ থেকে ৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। তবে এ মামলায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি বলেও জানান শাহবাগ থানার ওসি।

এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্টে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের মধ্যে হট্টগোলের ঘটনা ঘটে। এসময় বার ভবনে দুপক্ষের মুখোমুখি বিক্ষোভ মিছিল চলাকালে সুপ্রিম কোর্ট বার সম্পাদকের কক্ষ ভাঙচুর করেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা

হামলার ঘটনার বিষয়ে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল অভিযোগ করেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়াদা রহমানের রায়ের বিষয়ে সমিতির এক নম্বর হলে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের প্রেস ব্রিফিং চলছিলো। সেখানে মিছিল নিয়ে ঢোকেন সরকার সমর্থক আইনজীবীরা। প্রেস ব্রিফিংয়ে এসে হামলা করার জন্য অনবরত স্লোগান এবং হুমকি দিচ্ছিলেন তারা। এটির প্রতিবাদ করলে তারা ফায়ার এক্সটিংগুইসার ( অগ্নিনির্বাপণ গ্যাস) দিয়ে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের ওপর স্প্রে করতে থাকেন।

অপরদিকে সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক আবদূন নূর দুলাল বলেন, অতর্কিতভাবে তারা ( বিএনপিপন্থি আইনজীবী) একটি সন্ত্রাসী কায়দায় আমাদের ওপর হামলা করে।

 Print This Post