চট্টগ্রামে বন্যার্তদের জন্য বরাদ্দ ৭০ লাখ টাকা: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ৯ আগস্ট ২০২৩, ৭:০৩ অপরাহ্ণ

টানা সাত দিনের বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে চট্টগ্রামের ৫ জেলায় ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যার্থে মানবিক সহায়তা হিসেবে ৭০ লাখ টাকা, ১০০ মেট্রিক টন চাল ও শুকনো খাবারের ২১ হাজার প্যাকেট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান।

বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।

এনামুর রহমান বলেন, টানা ৭ দিনের ভারি বর্ষণে পাহাড়ি ঢলের সৃষ্টি হয়। সেই ঢলের ফলে চট্টগ্রামের পটিয়া, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, লোহাগড়া উপজেলা; কক্সবাজারের চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলা; বান্দরবানের রামু উপজেলা এবং রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ির কিছু জায়গা প্রবলভাবে প্লাবিত হয়।

হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। এ পরিস্থিতিতে আমাদের মাঠ প্রশাসন, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা উদ্ধার ও মানবিক সহায়তা দিতে কাজ শুরু করেন।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সেনা ও নৌবাহিনী মোতায়েন করা হয়। তারা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দুর্গত এলাকার মানুষকে উদ্ধার করে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে গেছেন।

সেখানে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম চলমান। গত জুলাই মাসের ৩ তারিখে আমরা প্রত্যেক জেলায় আপদকালীন দুর্যোগ মোকাবেলায় ২০০ টন চাল, ১০ লাখ টাকা এবং ২০০০ প্যাকেট শুকনো খাবার মজুত রেখেছিলাম। সেই মজুত থেকে দুর্গত এলাকায় তাৎক্ষণিক সহায়তা পৌঁছে যায়।

৭ আগস্ট চট্টগ্রাম, বান্দরবান, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে ১০ লাখ টাকা, ১০০ টন চাল ও ৩ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার প্রেরণ করি উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আজ আমরা জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় সংসদ সদস্যদের সঙ্গে আলাপ করে চকরিয়া, পেকুয়া, লোহাগড়ায় ১০ লাখ টাকা, ১০০ টন চাল ও ৩ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি।

তিনি বলেন, আমরা এ পর্যন্ত ৭০ লাখ টাকা, ২১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ও ৭০০ টন চাল বরাদ্দ দিয়েছি। একই সঙ্গে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও পানির বোতল দেয়া হয়েছে। এখন বৃষ্টি নেই। পানি কমতে শুরু করেছে। নতুন করে আর বন্যার আশঙ্কা নেই।

প্রধানমন্ত্রী সব সময় আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তিনি আজো ফোন দিয়ে মানবিক সহায়তা বৃদ্ধি ও বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শনের নির্দেশ দিয়েছেন। তার নেতৃত্বে শুক্রবার একটি প্রতিনিধি দল চট্টগ্রামের বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শনে যাবে বলেও জানান এনামুর রহমান।

এবার বৃষ্টিপাত দেখে পাহাড়ি এলাকার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছিল জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও চট্টগ্রামে কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। রাঙ্গামাটিতে ২৩৫টি জায়গায় পাহাড় ধস হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির হিসাব পাওয়ার পর আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক ডাকা হবে। সেখানে আমরা পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কাছে সুপারিশ রাখব- মাতামুহুরি, সাঙ্গু ও হালদা নদীগুলো যাতে খনন করা হয়।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...