বিয়ের প্রলোভনে প্রেমিকাকে ডেকে নিয়ে পতিতালয়ে বিক্রি

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ১১ আগস্ট ২০২৩, ৯:২৪ পূর্বাহ্ণ

শেরপুরের শ্রীবরদী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে পার্শ্ববর্তী জামালপুরের পতিতাপল্লী থেকে এক যুবতীকে (২০) উদ্ধার করেছে।

বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগীকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এর আগে যুবতীর অভিভাবক ৯ আগস্ট শ্রীবরদী থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অবস্থান নির্ণয় করে ওইদিন রাতেই অভিযান চালিয়ে যুবতীকে উদ্ধার করে।

বিয়ের প্রলোভনে পড়ে পাচার হওয়া এই যুবতী উপজেলার খড়িয়াকাজীরচর ইউনিয়নের দক্ষিণ লংগড়পাড়া গ্রামের এক দরিদ্র পরিবারের কন্যা।

এ ঘটনায় শ্রীবরদী থানায় লোকমান মিয়া (২৩) নামে এক পাচারকারীর বিরুদ্ধে মানব পাচার আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। লোকমান মিয়া শেরপুর সদর উপজেলার চরশেরপুর নিচপাড়া গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে।

পুলিশ জানায়, ওই যুবতীকে তার প্রেমিক লোকমান বিয়ের প্রলোভনে ডেকে নিয়ে জামালপুর শহরের রানীগাঁও (দয়াময়ী মোড়) এলাকার পতিতাপল্লীতে বিক্রি করে দেয়। উদ্ধার হওয়া যুবতীকে আজ আদালতে হাজির করে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে।

ওই যুবতী জানায়, দুই বছর আগে পাশের ঝিনাইগাতী উপজেলাতে তার বিয়ে হয়। স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় তিনি মা বাবার কাছে চলে আসেন। তার মা-বাবা গাজীপুরের একটি পোষাক কারখানায় শ্রমিকের চাকরি করতো। এ কারণে সে পিতা-মাতার কাছেই থাকাতো। এরই মধ্যে মোবাইলে তার সাথে লোকমানের পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। মাস দুই আগে মা-বাবা তাকে শ্রীবরদীর দাদার বাড়িতে রেখে যায়। পরে স্থানীয় একটি দাখিল মাদরাসার পড়া লেখা শুরু করে। এক পর্যায়ে ২০ জুন বিকালে তাকে নিয়ে প্রেমিক লোকমান পালিয়ে যায়। বিয়ের প্রলোভনে নানা জায়গায় ঘোরাঘুরি করে ওই রাতে আরও কয়েকজন মিলে তাকে জামালপুরের পতিতাপল্লীতে বিক্রি করে দেয়। এ ঘটনার পর তার বাবা শ্রীবরদী থানায় মামলা দায়ের করে।

শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, প্রেমিক লোকমানকে ধরতে পুলিশের দুইটি টিম বিশেষ অভিযান শুরু করেছে। বিষয়টি পুলিশ সুপার নিজে তদারকি করছেন।

 

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...