এক দেড় মাসের মধ্যে আমিও কারাগারে যেতে পারি: মির্জা ফখরুল

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২:৫৮ অপরাহ্ণ

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আগামী এক দেড় মাসের মধ্যে আমাকেও কারাগারে যাওয়া লাগতে পারে।

বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘নব্বইয়ে’র গণঅভ্যুত্থানও কিছু কথা’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষে- এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এখানে নব্বইয়ে’র ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

তিনি বলেন, আইন মন্ত্রনালয় একটি সেল তৈরি করেছে, সেখানে অতিদ্রুত রায় দিয়ে সাজা প্রদাণ করা যায়। যারা দেশের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করছে তাদের সবাইকে এক কাতারে শামিল হয়ে আদালতে যেতে হচ্ছে। আমার ধরনা, এক দেড় মাসের মধ্যে আমাকেও কারাগারে যাওয়া লাগতে পারে। কারণ যারা সরকারকে বলছে, তুমি চলে যাও, ছেড়ে দাও ক্ষমতা। সরকার তাদেরকে সাজা প্রদানের ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।

আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক উপ- উপাচার্য আ ফ ম ইউসুফ হায়দার।

মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন তো আমরা চাই, আমরা তো বিশ্বাস করি নির্বাচন ছাড়া কোন পরিবর্তন কোন উপায় নেই। এটা বিশ্বাস করে যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। পূর্ব অভিজ্ঞতা দেখেছি, কোন দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না। যদি সেটা আবার আওয়ামী লীগের অধীনে হয়। তা তো কখনোই সুষ্ঠু হবে না।

তিনি বলেন, জাতি আজ মুখোমুখি হয়েছে। জাতি আজ রাজনৈতিকভাবে টিকে থাকবে কী থাকবে না। আজ দুর্ভাগ্য আমাদের, ৭১ ও ৯০ যখন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাতার জন্য জীবন দিতে হয়েছে। কিন্তু ৫২ বছর পর আজ সেইটা কথা বলতে হচ্ছে। দেখতে হচ্ছে দেশ থেকে গণতন্ত্র সম্পূর্ণভাবে বিলীন করে দেয়া হয়েছে। আজ প্রতিদিন বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মী কোর্টের বারান্দায়, এটি কোন গণতন্ত্র এর দেশের হতে পারে না।

দেশের বুদ্ধিজীবী ও সম্পাদকদের কোর্টের বারান্দায় গিয়ে দেখার আহ্বান করে মির্জা ফখরুল বলেন, গিয়ে দেখুন কিভাবে নেতাকর্মীরা হাজিরা দেয়। কত সাধারণ মানুষ ও নেতাকর্মীরা যাচ্ছে। বলেন তো গণতন্ত্র আছে! এমন বিচার ব্যবস্থা, যদি হাইকোর্টে জামিন দেয়, সেটা এ আবার নিম্ন কোর্টে আটকে দেয়।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের একটা ইতিহাস তারা গণতন্ত্র বিশ্বাস করে না। এটা বললে তাদের গা জ্বালা করে। তারা কি অস্বীকার করতে পারবে তারা এ কাজটি করেনি। ১৯৭৫ সালে তো তার বাকশাল কায়েম করেছিল গণতন্ত্রকে হত্যা করে।

 

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...