ঢাকাদক্ষিণ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ দত্তরাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন ইউকে ১২৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ৪ অক্টোবর ২০২৩, ৭:৪৯ পূর্বাহ্ণ

ঢাকাদক্ষিণ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ দত্তরাইল অ্যালামনাই এসোসিয়েশন ইউকে’র উদ্যোগে ১ লা অক্টোবর রবিবার ঐতিহ্য ও গৌরব ১২৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান লন্ডনের ইমপ্রেশন ভেন্যুতে প্রথম বারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানে অ্যালামনাই এসোসিয়েশন ইউকে’র সভাপতি জনাব তছউর আলীর সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান শানুর ও মহিলা সম্পাদিকা নাজিয়া আক্তার রেবিন এর যৌথ সঞ্চালনায় পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করেন এতোয়ার হোসেন মুজিব।

জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়।প্রথমে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জনাব তছউর আলী।সাধারণ সম্পাদক জনাব নাজমুল ইসলাম নুরু কার্যকরী কমিটির নাম ঘোষণা করেছেনএবং সবাই কে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন। নিজের কিছু স্মৃতি জাগানিয়া কথা রোমন্থন করছেন। অ্যালামনাই এসোসিয়েশন ইউকে সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন জনাব শামীম আহমেদ। পুনর্মিলনী সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন জনাব ডাক্তার মাসুক উদ্দিন। অনুষ্ঠানটি দুই পর্বে ছিল। প্রথম পর্বে আলোচনা সভা। দ্বিতীয় পর্বে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, একটি জাতিকে বিচার করা হয় শিক্ষা দিয়ে। যে জাতি শিক্ষায় যত এগিয়ে, সভ্যতায় বিনির্মানে তাঁরা ততবেশী স্বয়ং সম্পূর্ণ।ঢাকা দক্ষিণ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ দত্তরাইলের শিক্ষার্থীরা দেশ বিদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে তাঁরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলছে । এটাই আমাদের জন্য ঐতিহ্য ও গৌরবের ধারক ও বাহক আমাদের শিক্ষার্থীরা সমাজ ও দেশের বিভিন্ন জনকল্যাণমুলক কাজে অংশ গ্রহণ করেছেন।বিদেশের মাটিতে আমাদের একখণ্ড ঢাকা দক্ষিণ অ্যালামনাই এসোসিয়েশনন ইউকে’র নাম উজ্জ্বল করেছে। জ্ঞানই শক্তি জ্ঞানই আলো। শিক্ষাই গতি, শিক্ষাই করবে দূর জগতের সকল কালো অধ্যায় । শিক্ষাই পারে তথ্য প্রযুক্তির সঠিক প্রয়োগ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে জীবন ধারাকে উন্নত থেকে উন্নততর করতে। এ ঢাকা দক্ষিণ পরগনার মধ্যে প্রথম শিক্ষার জন্য, শিক্ষিত জাতি গঠনের জন্য, এলাকার শিক্ষানুরাগী ও জ্ঞান পিপাসুরা প্রতিষ্ঠা করেন ১৮৯৮ খ্রিষ্টাব্দ দত্তরাইল মিডল ইংলিশ স্কুল প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে রায়বাহাদুর প্রকাশ চন্দ্র দেব চৌধুরী। বাহা উদ্দিন চৌধুরী ও কালী কৃষ্ণ দত্ত চৌধুরী ।

প্রথম দিন থেকে আজ অবধি ঢাকা দক্ষিণ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ কৃষ্টি, সভ্যতা, সংস্কৃতি, ও ঐতিহ্য ও গৌরবের ধারক ও বাহক হয়ে নিরলসভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছে ঢাকা দক্ষিণ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নিউ হ্যাম কাউন্সিলের কাউন্সিলার মেয়র রহিমা রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্যাথনাল গ্রীন এন্ড বো আসনের সাংসদ রুশনারা আলী এমপি। ঢাওয়ার হ্যামলেটস স্পীকার জাহেদ চৌধুরী।এনফিল্ড কাউন্সিলের কাউন্সিলার ডেপুটি মেয়র আমিরুল ইসলাম। উক্ত অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন অ্যালামনাই এসোসিয়েশন ইউকে সহ সভাপতি আব্দুল কাদির। আজন উদ্দিন। দেওয়ান নজরুল ইসলাম। কমিউনিটি একটিভিস্ট নুরুল ইসলাম। ব্যারিষ্টার আতাউর রহমান। মুজিবুল হক মনি। সৈয়দ এনামুল হক। আইন বিষয়ক সম্পাদক সলিসিটর কাওসার হোসেন কোরেশি। ব্যারিষ্টার তাজ উদ্দিন শাহ। আমিনুল হক জিলু। তারপর “স্মৃতির আঙিনা “নামক ম্যাগাজিনের মোড়ক উন্মোচন করেন বিশিষ্ট ব্যাংকার ও চার্টার একাউন্ট ঢাকা দক্ষিণ বহু মুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী জনাব আব্দুর রাকিব। বক্তব্য রাখেন উপকমিটির আহবায়ক জনাব ময়নুল ইসলাম ও সহ সম্পাদক মাহবুব হোসেন। তারপর অর্থ উপকমিটির আহবায়ক ফরিদ আহমদ। অভ্যর্থনা উপকমিটির আহবায়ক সেলিম উদ্দিন চাকলাদার ও রহিম উদ্দিন মুক্তা ।HawaTV ও Dunton grill and spice এর পক্ষ থেকে যৌথ ভাবে ক্রেষ্ট উপহার দেওয়া হয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্যে আব্দুর রাকিব। ডাক্তার মাসুক উদ্দিন।
সলিসিটর কাওসার হোসেন কোরেশি। ব্যারিষ্টার তাজ উদ্দিন শাহ। নতুন প্রজন্মের অহংকার ইংল্যান্ডে বেড়ে উঠা কৃতি সন্তান সলিসিটর অ্যালামনাই এসোসিয়েশন ইউকে’র সভাপতি জনাব তছউর আলী সাহেবের ছেলে শাহীন সামাদ। সিনিয়র সহসভাপতি জনাব শামীম আহমেদ এর ছেলে নওশাদ আহমেদ। সাহাব উদ্দিন সাহেবের ছেলে আব্দুস সামাদ। , তাহের হামজা। মতিন হোসেন ও ডাক্তার ইশরাত হোসেন। শাহীন সামাদ এর পক্ষে ক্রেষ্ট গ্রহণ করেছেন পিতা তছউর আলী। তাহের হামজা’র পক্ষে ক্রেষ্ট গ্রহণ করেছেন পিতা শফিক হামজা। মতিন হোসেন’র পক্ষে ক্রেষ্ট গ্রহণ করেছেন বড় ভাই আতিকুর রহমান।

ডাক্তার ইশরাত হোসেন এর পক্ষে ক্রেষ্ট গ্রহণ করেছেন পিতা আবিদ হোসেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেছেন মারুফ আহমেদ। হাওয়া টিভি’ ও ডানটন গ্রীল ও স্পাইস এর পক্ষ থেকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সবাই কে। এরপর পর ছিল জারীগান। নাজিয়া আক্তার রেবিনের নেতৃত্বে ঢাকা দক্ষিণ বহু মুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা মিলে একটি জারী গান পরিবেশন করেন। বৃটিশ বাংলাদেশী নাগরিক ক্ষুদে শিল্পী আদিয়ান একটি বাংলা গান পরিবেশন করে। তারপর নৃত্য ছিল। তারপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছিল মনোমুগ্ধকর।গান পরিবেশন করেন শতাব্দী রায়। রানা খান। শংকরী ও বীথি। বেশ জমজমাট ছিল গান। মধ্য রাত পর্যন্ত চলছে গানের আড্ডা। যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহর থেকে প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রী শিক্ষকরা এসেছেন। বিশেষ করে ম্যানচেষ্টার,বার্মিংহাম,লুটন, বনমাউথ, কেন্ট, সারি শহর থেকে শত শত প্রাক্তন শিক্ষার্থী উপস্থিত হয়ে অনুষ্ঠান কে সুন্দর ও সার্থকভাবে সম্পন্ন করেছেন।অনেক সাংবাদিক, সাহিত্যিক,লেখক, রাজনীতিবিদ ও কমিউনিটির নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠান কে সাফল্যমণ্ডিত করেছেন। ঐতিহ্য ও গৌরবের ১২৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য সবাই কে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...