হামুনের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড কক্সবাজার, নিহত ৩

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ২৫ অক্টোবর ২০২৩, ৭:৪৮ পূর্বাহ্ণ

ঘূর্ণিঝড় হামুনের তাণ্ডবে দেয়াল ও গাছের নিচে চাপা পড়ে কক্সবাজারে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। কক্সবাজার সদর, মহেশখালী ও চকরিয়া উপজেলায় তাদের মৃত্যু হয়।

নিহতরা হলেন, পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পাহাড়তলী এলাকার আবদুল খালেক (৪০)। রাত ৯টার দিকে ঘরের দেয়ালে চাপা পড়ে মারা যান তিনি।

দ্বিতীয়জন মহেশখালী উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের কবরস্থান এলাকার হারাধন দে (৪৫)। তিনি রাত ৮টার দিকে গাছচাপা পড়ে মারা যান। অপরজন হলেন চকরিয়া উপজেলার আজগর আলী (৫০)। তিনিও গাছ চাপা পড়ে নিহত হয়েছেন।

কক্সবাজার পৌর মেয়র মাহবুবুর রহমান তিনজনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সন্ধ্যা ৭টার দিকে হামুন উপকূল অতিক্রম শুরু করার পর কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থানে বিপুল সংখ্যক বাড়িঘর ও বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে যায়। অনেক ঘরবাড়ির চালা উড়ে গেছে। বড় বড় অনেক গাছ ভেঙেছে। উড়ে গেছে দোকানপাট ও বিভিন্ন স্থাপনা।

মহেশখালী ও কুতুবদিয়াতেও ভয়াবহ তাণ্ডব চালিয়েছে হামুন। সেখানেও বহু গাছ ভেঙেছে।

আবহাওয়া অধিদফতরের সর্বশেষ বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টির মূল অংশের উপকূল অতিক্রম অব্যাহত আছে। এটি আরও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে কুতুবদিয়ার নিকট দিয়ে পরবর্তী ৪ থেকে ৬ ঘণ্টার মধ্যে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২ থেকে ৩ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে সাগর ‘খুবই উত্তাল’ থাকায় চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি অপর দুই সমুদ্রবন্দর মোংলা ও পায়রাকে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।

সেই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলেছে সংস্থাটি।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...