অবৈধ অনুপ্রবেশ, ভারতে ১১ বাংলাদেশির সাজা

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ৩:০৯ অপরাহ্ণ

অবৈধভাবে কাঁটাতার পার হওয়ার অভিযোগে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) দুই নারীসহ ১১ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছে। ইতোমধ্যে তাদের আদালতে হাজির করলে প্রত্যেককে ১৪ দিন করে কারাদণ্ড দেন বিচারক। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগণার বাগদা থানার তিনটি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

কারাদণ্ড প্রাপ্তরা হচ্ছেন- হৃদয় চৈতন্য, আবির চন্দ্র মৃধা, লিপি রানী মৃধা, পপি আখতার, আব্দুর রহিম, শ্যামল সরকার, মোয়াজেম শেখ, মোহাম্মদ ইউসুফ, সঞ্জিত বিশ্বাস, বাপ্পা সেন ও নীরব বিশ্বাস।

জানা গেছে, শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) তিন বাংলাদেশিসহ দুই ভারতীয় দালালকে গ্রেপ্তার করে বনগাঁর আদালতে পাঠিয়ে দেয় পুলিশ। তারপর শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) আবারও বাগদার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরও ১১জন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়।

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) জানিয়েছে, ভারতীয় ও বাংলাদেশি নাগরিকদের অবৈধভাবে কাঁটাতার পার হওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার করে বাগদা থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে হাজির করলে তাদের ১৪ দিনের জেল হয়।

এদিকে গত মাসে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যাওয়ায় আড়াই বছর সাজাভোগ শেষে ভারত থেকে দেশে ফিরেছেন দুই বাংলাদেশি যুবক। ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের সহযোগিতায় আইনি প্রক্রিয়ায় দুইজনকে ‘রিপ্যাট্রিয়েশনের’ মাধ্যমে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

ফেরত আসা দুই যুবক হলেন সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা থানার পারুলিয়া গ্রামের কামাল হোসেন ও ঢাকার শ্যামপুর পশ্চিম জুরাইন এলাকার সুলতান ফরাজি।

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ওসি কামরুজ্জামান বিশ্বাস বলেন, ‘দেশে ফেরত আসা দুই বাংলাদেশি যুবক দীর্ঘ আড়াই বছর আগে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে যান। সেখানকার কলকাতার রেলস্টেশন এলাকায় ঘোরাঘুরির একপর্যায়ে পুলিশ আটক করে তাদেরকে জেলহাজতে পাঠায়। ভারতের আদালত তাদের সাজা দেয়।

‘ভারত-বাংলাদেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে দীর্ঘদিন চিঠি চালাচালির একপর্যায়ে তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। এতে ভারত সরকারের দেয়া বিশেষ ‘রিপ্যাট্রিয়েশনের’ মাধ্যমে তাদের দেশে ফেরত আনা হয়।’

ওসি জানান, দুই বাংলাদেশি যুবককে পোর্ট থানায় হস্তান্তর করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। সেখানে আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের অভিভাবকের হাতে তুলে দেয়া হবে।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...