বান্দরবানে কেএনএফের ৮ সদস্য আটক, অস্ত্র উদ্ধার

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৩ পূর্বাহ্ণ

বান্দরবানে সেনাবাহিনীর অভিযান থেকে সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) ৮ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। এ সময় বেশ কয়েকটি অস্ত্র উদ্ধারের তথ্যও জানিয়েছে সেনাবাহিনী।

সেনাবাহিনী জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে বান্দরবান রিজিয়নের ১৬ ই বেংগল কর্তৃক দোপানিছড়াপাড়া এলাকায় সুংসুংপাড়া আর্মি ক্যাম্পের মেজর রাজীবের নেতৃত্বে একটি টহল দল কেএনএফ সন্ত্রাসীদের অবস্থানের খবরের প্রেক্ষিতে এলাকাটি ঘেরাও করে এবং ৮ জন কেএনএ সন্ত্রাসীকে আটক করে। এ সময় টহল দল অনুসন্ধান চালিয়ে ৯টি এলজি, ১৯টি এলজি কার্টিজ, ২টি মোবাইল ফোন এবং ২টি আইডি কার্ড উদ্ধার করে।

এর আগে, গত ২ এপ্রিল রাতে তারাবি নামাজের সময় বান্দরবানের রুমা শাখা সোনালী ব্যাংক ও আশপাশের এলাকা ঘিরে ফেলে শতাধিক সশস্ত্র দুর্বৃত্ত। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মসজিদ থেকে ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে ধরে নিয়ে ব্যাংকের ভেতরে মারধর করে তারা। পরে তাঁকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

এ সময় ব্যাংকের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ১০ পুলিশ ও ৪ আনসার সদস্যকে নিরস্ত্র করে ৮টি চাইনিজ অটোমেটিক রাইফেল, ২টি এসএমজি, ৪টি শটগান ও ৪১৫ রাউন্ড গুলি ছিনিয়ে নেয় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ২ পুলিশ সদস্য আহত হন। এর পরদিন থানচিতে আরও দুটি ব্যাংকে ডাকাতি হয়।

৪ এপ্রিল রাতে অপহৃত সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা নেজাম উদ্দিনকে রুমা বাজার থেকে উদ্ধার করে র‍্যাব। এর পরপরই থানচি থানা থেকে গোলাগুলির শব্দ শোনেন স্থানীয়রা। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী এই গোলাগুলি চলে।

স্থানীয়রা বলছেন, থানচি থানার পাশে প্রথম গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। পরে তা থানচি বাজারের কাছে চলে আসে। এ সময় কেএনএফ সদস্যদের সঙ্গে পুলিশের গুলি বিনিময় হয়। পুলিশ জানিয়েছে, থানায় হামলা প্রতিহত করতে গিয়ে তাঁরা প্রায় ৫০০ রাউন্ড গুলি ছুড়েছে।

এর রেশ কাটতে না কাটতেই ওইদিন মধ্যরাতে আলীকদমের ২৬ মাইল ডিম পাহাড় এলাকায় যৌথবাহিনীর চেক পোস্টে হামলা হয়। সবগুলো ঘটনার সঙ্গেই কেএনএফ জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এরপর থেকেই পার্বত্য অঞ্চলে অভিযান শুরু করে যৌথবাহিনী। অভিযানের মধ্যে গত ৭ এপ্রিল কেএনএফের অন্যতম প্রধান সমন্বয়ক চেওশিম বমকে বান্দরবানের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করার তথ্য জানায় র‍্যাব–১৫। পরদিন বেথেল পাড়ায় (বম পাড়া) যৌথ অভিযানে ৭টি দেশীয় বন্দুক, ২০ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। এ সময় ৩১ জন পুরুষ ও ১৮ জন নারী গ্রেপ্তার হন। এরপর ১০ এপ্রিল গ্রেপ্তার হন সংগঠনটির সহযোগী লাল লিয়ান সিয়াম বম। পরদিন গ্রেপ্তার হন আরও তিন সন্দেহভাজন।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...