‘পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে শিক্ষা নেয়া উচিত বিএনপির’

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ৭:০৩ অপরাহ্ণ


আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মন্তব্য করে বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি নিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর করা বক্তব্য থেকে বিএনপির শিক্ষা নেয়া উচিত। শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

এসময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজ বাংলাদেশের যে উন্নতি, যে উচ্চতা- তা দেখে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ লজ্জিত হন। তিনি বলেছেন, তৎকালীন পাকিস্তানের যে অংশকে দেশটির নেতারা ‘বোঝা’ মনে করতেন সেই ‘বোঝা’ উন্নয়ন-অগ্রগতিতে অনেক এগিয়ে গেছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি যত মিথ্যাচার করে, সরকারের উন্নয়ন নিয়ে অপপ্রচার করে, তাদের শাহবাজ শরীফের ওই বক্তব্য থেকে প্রকৃত সত্য অনুধাবন ও শিক্ষা নেয়ার অনেক কিছুই আছে। পাকিস্তান বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করে। আর বিএনপি দেশের উন্নয়ন দেখতে পায় না। দেশের উন্নয়ন নিয়ে এত হীন মনোবৃত্তির পরিচয় তারা দিচ্ছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে তাদের বাস্তবতাটা বোঝা উচিৎ।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আজ কথায় কথায় তারা ডামি নির্বাচনের কথা বলে। কিন্তু বিএনপি গণতন্ত্র ও নির্বাচনে অকার্যকর হয়ে তারা নিজেরাই ডামি রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। তারা মনে করেছিল, বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিলে সরকার বৈধতা পাবে না। কিন্তু হয়েছে উল্টো। জাতীয় নির্বাচনের পর স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে ২৩১টি নির্বাচন হয়েছে। যেখানে ভোট পড়েছে ৬০ শতাংশ।

ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বিএনপিকে ছাড়াই দেশের গণতন্ত্র এবং নির্বাচন ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে। উপজেলা নির্বাচনও সুষ্ঠু হবে। এ নির্বাচনে বিএনপির কেউ অংশ নিলে তাতে সমর্থন কিংবা বিরোধিতা কোনটাই করবে না আওয়ামী লীগ। বিএনপির ব্যাপার বিএনপিই দেখবে।

উপজেলা নির্বাচনে দলীয় নির্দেশ অমান্য প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের এখনো সময় আছে। শেষ দিন পর্যন্ত দেখতে হবে। দলীয় নির্দেশ অমান্য করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা সময়মতো নেয়া হবে।

বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনের সমালোচনা করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, গাজায় ইসরাইল যে গণহত্যা চালাচ্ছে তা মানবাধিকারের কোন পর্যায়ে গেছে? প্রতিদিন সেখানে মানুষ মারছে। কারো কথারই তোয়াক্কা করছে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবও মানছে না। সেই যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের ফান্ডে ইসরাইলের অংশের অনুমোদন এরই মধ্যে দিয়েছে। তার মানে যুদ্ধের উসকানি সহযোগিতা করছে। আগে তারা ইসরাইলের যে গণহত্যা, এ গণহত্যার ব্যাপারে মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে নিকৃষ্টতম নমুনা এর ব্যাপারে তারা তাদের অবস্থান পরিষ্কার করুক। তারপর অন্যদের হেদায়েত করুক।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...