সব
স্বদেশ বিদেশ ডট কম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে আওয়ামী লীগ নেতা একেএম ইকবাল আজাদ হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ১০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তরা হচ্ছেন, সরাইল উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর, মাহফুজ আলী, মোকাররম হোসেন সোহেল ও ইসমত আলী। ইসমত ও সোহেল পিতা-পুত্র। এ ছাড়া আবদুল জব্বার, সিজার, ইদ্রিস আলী, বাবু, হারিছ, বকুল, লিমন, আবদুল্লাহ, শরীফ ও মিজানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে।
বুধবার (৩ জুলাই) বিকেলে চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক মো. হালিম উল্লাহ চৌধুরী চাঞ্চল্যকর এই মামলার রায় ঘোষণা করেন। আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অশোক কুমার দাস জানান, বাকী সব আসামি খালাস পেয়েছে।
দলীয় বিরোধে ২০১২ সালের ২১ অক্টোবর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হন সরাইল আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি একেএম ইকবাল আজাদ। এ ঘটনায় সরাইল আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি আবদুল হালিম, সাধারণ সম্পাদক মো. রফিক উদ্দিন ঠাকুর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুল জব্বার, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজ আলী, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাফেজুল আসাদ সিজার, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ইসমত আলীসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত ইকবাল আজাদের ছোট ভাই একেএম জাহাঙ্গীর আজাদ।
পুলিশের তদন্তে ঘটনার সঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি আখিতারা গ্রামের মো. সাদেক মিয়াসহ আরও ৭ জনের সম্পৃক্ততা বেড়িয়ে আসে। চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলায় মোট ২৯ জনের বিরুদ্ধে ২০১২ সালের ১৭ ডিসেম্বর চার্জশিট দেয় পুলিশ। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে তৎকালীন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল হালিম ও সহ-সভাপতি মো. সাদেক মিয়া মারা যান।
Developed by: Helpline : +88 01712 88 65 03