ষ্টার মারের নেতৃত্বে নতুন ব্রিটিশ মন্ত্রীসভা বিচারমন্ত্রী হলেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত শাবানা মাহমুদ

মতিয়ার চৌধুরী-লন্ডন,

  • প্রকাশিত: ৬ জুলাই ২০২৪, ৪:৩১ অপরাহ্ণ

ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লেসের কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রীত্ব ও সরকার গঠনের দায়িত্ব পাওয়ায় নতুন মন্ত্রিসভা গঠন শুরু করেছেন লেবার নেতা স্টারমার। ডাউনিং স্ট্রিটে ডাক পাচ্ছেন লেবার নেতারা। তবে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নির্বাচনে বিজয়ী কোনও ব্রিটিশ-বাংলাদেশি এমপিকে মন্ত্রিসভার দায়িত্ব নেওয়ার জন্য ডাকা হয়নি। নতুন সরকারে অ্যাঞ্জেলা রায়নারকে উপপ্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। অর্থমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন র‌্যাচেল রিভস। এর মধ্য দিয়ে ইতিহাস গড়েছেন তিনি। যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে তিনিই প্রথম নারী অর্থমন্ত্রী। পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে নিয়োগ পেয়েছেন কৃষ্ণাঙ্গ আফ্রিকান বংশদ্ভোত ডেভিড ল্যামি।

ব্রিটেনের নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছেন ইভেত্তে কুপার। জন হ্যালি প্রতিরক্ষামন্ত্রী, ব্রিজেত ফিলিপসন শিক্ষামন্ত্রী, ওয়েস স্ট্রিটিং স্বাস্থ্যমন্ত্রী, এড মিলিব্যান্ড জ্বালানিমন্ত্রী, ব্রিটেনে জন্ম নেয়া পাকিস্তানী বংশদ্ভোত শাবানা মাহমুদ বিচারমন্ত্রী, তিনিই ব্রিটেনের ইতিহাসে প্রথম মুসলিম বিচারমন্ত্রী। জোনাথন রেনল্ড বাণিজ্যমন্ত্রী, লিজ কেন্ডাল শ্রম ও কারামন্ত্রী, স্টিভ রিড পরিবেশমন্ত্রী, লুইস হাইগ পরিবহনমন্ত্রী, পিটার কাইলি বিজ্ঞান, উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি–বিষয়কমন্ত্রী, লিসা নন্দী সংস্কৃতি–বিষয়ক মন্ত্রী, উত্তর আয়ারল্যান্ড বিষয়ক মন্ত্রী হিলারি বেন, ইয়ান মারে স্কটল্যান্ড বিষয়ক মন্ত্রী, জো স্টিভেনস ওয়েলস বিষয়ক মন্ত্রী, অ্যাটর্নি জেনারেল রিচার্ড হারমার কেসি, ল্যাঙ্কাস্টারের ডাচির চ্যান্সেলর প্যাট ম্যাকফ্যাডেন, ড্যারেন জোন্স ট্রেজারির মুখ্য সচিব, লুসি পাওয়েল হাউস অব কমনস নেতা, স্যার অ্যালান ক্যাম্পবেল হাউস অব কমন্সের চিফ হুইপ ও অ্যাঞ্জেলা স্মিথ হাউস অব লর্ডসের নেতা হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ।

গত বৃহস্পতিবার দেশটিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৪১২টি আসনে জয় পেয়েছে লেবার পার্টি। কনজারভেটিভ পার্টি পেয়েছে ১২১টি আসন। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য কোনও দলের প্রয়োজন হয় ৩২৬ আসন। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে কনজারভেটিভ পার্টির টানা ১৪ বছর পর শাসন ক্ষমতার অবসান ঘটল। তবে লেবার পার্টির নতুন এই মন্ত্রিসভায় এখন পর্যন্ত বাংলাদেশি বংশোদ্ভোত চার এমপি- রুশনারা আলী, রূপা হক, টিউলিপ সিদ্দিক এবং আপসানা বেগমকে ডাকা হয়নি। ব্রিটেনে এবার সর্বোচ্চ সংখ্যক ৩৪ জন বাংলাদেশি বংশোদ্ভোত বিভিন্ন আসনে প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই চারজনই নির্বাচিত হন।

এই সম্পর্কিত আরও খবর...

Developed by: Web Design & IT Company in Bangladesh