সব
স্বদেশ বিদেশ ডট কম
স্থানীয় সময় রোববার (৭ জুলাই) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার ১২ ঘণ্টা পর বুথফেরত জরিপ পাওয়া যাবে। জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
ধারণা করা হচ্ছে, কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ। দ্বিতীয় দফাতেও পিছিয়ে রয়েছেন তিনি। ফলে এবারের নির্বাচনে ঐতিহাসিক বিজয়ের আশায় রয়েছেন কট্টর ডানপন্থীরা।
তবে ফলাফল যাই হোক না কেন প্যারিস এবং অন্যান্য ফরাসি শহরে সহিংসতার আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ এবং রোববার সন্ধ্যার পর জাতীয় পরিষদের বাইরে একটি পরিকল্পিত বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে এবং রাজনৈতিক উত্তেজনা এড়াতে ৩০ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
গত রোববার (৩০ জুন) ফ্রান্সে প্রথম ধাপের পার্লামেন্ট নির্বাচনে প্রায় ৩৪ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়লাভ করে মেরিন লে পেনের কট্টর ডানপন্থি দল ন্যাশনাল র্যালি (আরএন)। প্রায় ২৯ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বামপন্থি দলগুলোর জোট নিউ পপুলার ফ্রন্ট। অন্যদিকে, ২০.৭ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে ছিল দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁর দল।
প্রথম রাউন্ডে ভোটারদের উপস্থিতি বেশি ছিল প্রায় ৬৮ শতাংশ, যা ২০২২ সালের সংসদ নির্বাচনের ৪৭ দশমিক ৫ শতাংশের তুলনায় বেশি।
প্রথম দফার নির্বাচনে কট্টরপন্থিদের জয়লাভের পর তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা আটকাতে ‘ট্যাক্টিক্যাল ভোটের’ আহ্বান জানিয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ম্যাখোঁ।
ফ্রান্সের ৫৭৭ আসনের পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রথম ধাপেই সবকিছু নিশ্চিত করে দেয় না। তথাপি আরএন অপেক্ষাকৃত বেশি আসন পেয়েছে, যা দলটিকে ক্ষমতায় আনার সম্ভাবনাকে প্রকট করেছে। এমনটা হলে ৮০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো কট্টরপন্থি শাসন ফিরবে ফ্রান্সে।
Developed by: Helpline : +88 01712 88 65 03