সব
স্বদেশ বিদেশ ডট কম
বাজারে চাঁদাবাজির সমঝোতার সংস্কৃতি চালু থাকায় নিত্যপণ্যের মূল্য কমানো কঠিন বলে মন্তব্য করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
আজ রোববার রাজধানীর গুলশান ক্লাবে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম বাংলাদেশের বার্ষিক সম্মেলন ২০২৩ এ তিনি এ উদ্বগের কথা জানান।
অনুষ্ঠানে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, বাংলাদেশে ইউএস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ইউএসএইড) মিশন পরিচালক রিড এশলিম্যান উপস্থিত ছিলেন। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইবিএফবি সভাপতি হুমায়ুন রশীদ।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘আলু ও পেঁয়াজ আমদানিতে সব ধরনের কর কমানো হয়েছে। কিন্তু বাজারে দাম কমে না। আই অ্যাম ডিপলি ওরিড আবাউট দ্যাট। ট্যাক্স কমে যাচ্ছে। চিনির দাম বোধ হয় কিছুটা কমেছে মাঝখানে। প্রধান উপদেষ্টাকে বললাম, আমি তো আর কিছু করতে পারবো না। পণ্যের দাম ও বাজার নিয়ন্ত্রণ অনেক কঠিন।’
বাজারে দুই-তিন রকমের চাঁদাবাজের যোগসাজেশে পণ্যের দাম বাড়ছে বলে মনে করেন এই উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক সমঝোতা খুব কঠিন। কিন্তু চাঁদাবাজির সমঝোতা খুবই সহজ। যেকোনো বাজারে যান। দুই-তিন রকম চাঁদাবাজ আছে, যারা আগের সরকারের। আবার যারা প্রোসপেক্টিভ, আসবে আর লোকাল। আমি কারওয়ান বাজারে গেছি। তিন ভাগে ভাগ করা। সেখানে সমঝোতা আছে। আমাকে বলা হয়, সিন্ডিকেট ভাঙো। পণ্যের দাম কমানো ও ক্রেতার কাছে পণ্য সহজলভ্য করা। মাঝখানে যে দামটা থাকে, ১০ টাকার বেগুন ৫০ টাকা হয়ে যায়। কোনো কারণ ছাড়াই এটা বেড়ে যায়।’
মধ্যস্বত্ত্বভোগীরা তাদের কাজ করবে। কিন্তু যে মধ্যস্বত্ত্বভোগী ট্রাক ছুঁয়ে বলে আমাকে ৫০০ টাকা দাও, সে মধ্যস্বত্ত্বভোগী না। সে একজন চাঁদাবাজ, যোগ করেন তিনি।
আসন্ন বাজেট নিয়ে সরকার কাজ শুরু করেছে বলে অর্থ উপদেষ্টা জানান। তবে বাজেটে খুব বেশি নাটকীয় কিছু করা হবে না বলেও ব্যবসায়ীদের আশ্বস্ত করেন এই উপদেষ্টা। তবে কর ছাড় কমাতে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, প্রণোদনার দিন শেষ। এটা ভবিষ্যতে করা সম্ভব হবে না। কর অব্যাহতি কমানো নিয়ে আমি আগে বলেছি। সারাজীবন কী কর রেয়াত দিতেই থাকবো? এটা সম্ভব না। যুক্তিসঙ্গত কর দিতে হবে।
Developed by:
Helpline : +88 01712 88 65 03