গণ-অভ্যুত্থানে আহতরা হাসপাতালেই ভোটার হচ্ছেন

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ৫:৩২ অপরাহ্ণ

জুলাই অভ্যুত্থানে যারা অসুস্থ হয়ে যারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাদেরও ভোটার তথ্য হালনাগাদ শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। হাসপাতালেই বায়োমেট্রিকের পাশাপাশি জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের সুযোগও তারা পাচ্ছেন। দেড় সপ্তাহের মধ্যে হস্তান্তর করা হবে পরিচয়পত্র।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (বিএসএমএমইউ) কেবিন ব্লকে জুলাই বিপ্লবে আহতদের ভোটার হালনাগাদ করতে যায় বিশেষ দল।

সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালের এক টেবিলে বসে ভোটার আবেদনকারীর তথ্য, ছবি তোলা, আঙ্গুলের ছাপ এবং চোখের আইরিশ দিয়ে ভোটার হওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করছেন আহতরা। একইসঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনেরও সুযোগ পাচ্ছেন। আহতদের পাশাপাশি তাদের পরিবারের সদস্যরাও পাচ্ছেন বিশেষ এ সুবিধা।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের বাসায় গিয়ে ভোটার তথ্য হালনাগাদ করতে হলে ঝামেলা পোহাতে হতো। আমরা তো আহত রোগী, হাঁটাচলা নিষিদ্ধ। যে পদ্ধতিতে তথ্য হালনাগাদ করতে হচ্ছে, এতে আমাদের উপকার হচ্ছে। এজন্য কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।

নির্বাচন কমিশনের সহকারী প্রোগ্রামার মো. শাহাবুদ্দীন বলেন, আমরা হাসপাতালে যেসব সেবাগুলো দিচ্ছি- যাদের নতুন এনআইডি কার্ড দরকার বা কার্ড সংশোধন করতে হবে, কার্ড হারিয়ে গিয়েছে অথবা এই জাতীয় কোনো সমস্যা থাকলে আমরা তার সেবা দিচ্ছি।

শাহাবুদ্দিন জানান, আহতদের মধ্যে যাদের আঙুল ও চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের বিশেষ নির্দেশনায় তাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। আগামী দেড় সপ্তাহের মধ্যে তারা জাতীয় পরিচয়পত্র পাবেন।

তিনি আরও বলেন, আন্দোলনে যাদের (আহতদের) এমন সীমাবদ্ধতা হয়ে গেছে। আমরা কমিশনের অনুমতি নিয়ে তাদেরকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করবো এবং এনআইডি দিবো। এ ছাড়াও সারাদেশে যত জায়গায় রোগী আছে, আমরা সেখানে পৌঁছানোর চেষ্টা করবো।

উল্লেখ্য, শুধু ঢাকার হাসপাতালগুলোয় নয়, পর্যায়ক্রমে এ সেবা দেয়া হবে সারাদেশে জুলাই অভ্যুত্থানে চিকিৎসাধীন আহতদেরকেও।

২০ জানুয়ারি থেকে দেশজুড়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু হয়েছে। যা চলবে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এর ম্যধ্যে জুলাই অভ্যুত্থানে আহতরা যেন বাদ না পড়েন, সে লক্ষে নির্বাচন কমিশন এই বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে।

২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি অথবা তার আগে যাদের জন্ম, যারা বাদ পড়েছেন, তাদের ভোটার তালিকাভুক্তি ও মৃত ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ এবং আবাসস্থল পরিবর্তনের কারণে স্থানান্তরের সুযোগ থাকবে এ হালনাগাদে। নিবন্ধনের জন্য এবার ভোটারযোগ্য প্রায় ১৯ লাখ নাগরিকের তথ্য সংগ্রহ হতে পারে বলে মনে করছে ইসি।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...