নিত্যপণ্যের বাজার সহনীয় করতে ট্যারিফ কমিশন-এনবিআর কাজ করছে : বাণিজ্য উপদেষ্টা

বাসস,

  • প্রকাশিত: ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:১৮ পূর্বাহ্ণ

সঠিক বাজার ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার জন্য প্রতিযোগিতা কমিশন আছে, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর আছে, ব্যবসায়ী পরিসর বৃদ্ধি করার জন্য টিসিবি আছে। সর্বোপরি বাজারকে ভোক্তার জন্য সহনীয় করতে ট্যারিফ কমিশন ও এনবিআর কাজ করছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

রোববার ঢাকার স্থানীয় একটি হোটেলে খাদ্য পণ্যের যৌক্তিক দাম: বাজার তত্ত্বাবধানের কৌশল অনুসন্ধান শীর্ষক পলিসি কনক্লেভ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

এ সময় স্থানীয় উৎপাদক, আমদানিকারক ও ব্যবসায়ীদের বাজারকে প্রতিযোগিতাপূর্ণ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে বিভিন্ন পণ্যের যে দাম দেখি, দেশের বাজারে তাতে দাম কমার কথা। দাম বাড়ার কোনো কারণ দেখি না। দেশে আমদানি ব্যবস্থা ও মজুত যথেষ্ট আছে। তেল, চিনি, ছোলা ও খেজুরের কোন সংকট বাজারে নেই। ইনশাআল্লাহ রমজান উপলক্ষে কোন সমস্যা হবে না।

খাদ্য পণ্যের যৌক্তিক মূল্য কি হতে পারে তা নিয়ে আজ অনেক আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, এগুলেকো কিভাবে বাস্তব কর্মে পরিণত করা যায়, তা নিয়ে স্বল্প মেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করা হবে। এছাড়া ভোক্তাকে প্রকৃত সাহায্য করার জন্য নীতি প্রনয়ন দরকার বলেও অভিমত দেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, বছরে ৫-৬ লাখ টন রাইস ব্র্যান অয়েল ভারতে চলে যেত। রাইস ব্রান অয়েল স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো। আমরা এটার রপ্তানি কঠিন করে দিয়েছি। অলরেডি ২৫ শতাংশ রেগুলেটরি ট্যাক্স ইম্পোজ করা হয়েছে। এই তেল বাজারে আসলে বর্তমানের চেয়ে তেলের বাজার আরো স্থিতিশীল হবে। বোতল তেল ও খোলা তেলের ভেতর কোন পার্থক্য নেই, একমাত্র পার্থক্য দাম বলেও উল্লেখ করেন উপদেষ্টা।

বাজারে প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে সরকার প্রতিযোগিতা কমিশনকে স্বাধীন করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে উল্লেখ্য বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, আমাদের নীতিগুলো ধনিক শ্রেণির সুবিধার জন্য তৈরি হয়েছে, সাধারণ মানুষের জন্য নয়। গত ১৫ বছরে দেশে বড় কোনো বিনিয়োগ হয়নি, ফলে কর্মসংস্থানও বাড়েনি।

বিনিয়োগ না বাড়ে ট্যাক্স কালেকশন কিভাবে বাড়বে প্রশ্ন রেখে উপদেষ্টা বলেন, ব্যাংকগুলোকে অপরাধ প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছে। ইসলামী ব্যাংক, টিসিবি ধ্বংস করা হয়েছে। টিসিবি’র তালিকায় ৪৩ লাখ ভুয়া উপকারভোগী পাওয়া গেছে, যা আরও যাচাই করা দরকার বলে মন্তব্য করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে কী-নোট উপস্থাপন করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো. আবদুর রহিম খান, জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রধান সংগঠক সার্জিস আলম ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সমন্বয়ক উমামা ফাতেমা বক্তৃতা করেন।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...