শহীদদের প্রতি ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই ইন দ্যা ইউকের শ্রদ্ধা নিবেদন

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৮:২৯ অপরাহ্ণ

ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই ইন দ্যা ইউকের (ডোয়াইউকে) সদস্যবৃন্দ ২১শে ফেব্রুয়ারী ২০২৫ তারিখে শহীদ দিবসের প্রথম প্রহরে পূর্ব লন্ডনস্থ অলগেইট ইস্ট আন্ডারগ্রাউণ্ড স্টেশন সংলগ্ন শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করেছেন। ১৯৫২ সনের একুশে ফেব্রুয়ারীতে ঢাকায় ভাষা আন্দোলনে আত্মাহুতিদানকারীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধানিবেদনস্বরূপ শহীদ আলতাব আলী পার্কে নির্মিত শহীদ মিনারের বেদীতে সশ্রদ্ধচিত্তে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন প্রতিনিধিবৃন্দ। এতে অংশ নেন প্রশান্ত দত্ত পুরকায়স্হ বিইএম (সভাপতি), আ ফ মেসবাহ উদ্দিন ইকো (সাধারণ সম্পাদক), মুহাম্মদ আব্দুর রকীব, মারুফ চৌধুরী, সিরাজুল বাসিত চৌধুরী, সৈয়দ এনাম, সৈয়দ হামিদুল হক, এম কিউ হাসান, ডক্টর কামরুল হাসান, আকতার ভূঁইয়া মিরন, কঙ্কন কান্তি ঘোষ, চন্দন মিয়া, মিজানুর রহমান, খালেদ ইয়াহিয়া ও সৈয়দ ইকবাল আনোয়ার (মানচেষ্টার থেকে)।
এবারের প্রচণ্ড শীতের প্রকোপকে প্রত্যাখ্যান তথা অগ্রাহ্য করে যারা শহীদ মিনারে উপস্থিত ছিলেন, তাদের প্রতি ডোয়াইউকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছে।
তাদের অনেকের মতে প্রচণ্ড ঠাণ্ডাকে উপেক্ষা করাটা যারা আটই ফাল্গুনে জীবন বিসর্জন দিয়ে গেছেন, তাদের ওই অনন্য ত্যাগের তুলনায় একেবারেই নগন্য। সমুদ্র আর এমনকি এর এককনা জলের কোটি কোটি ভাগের এক ভাগও নয়। এমন বিবেচনাবোধ, দায়িত্ববোধ ও তাগিদ থেকে তাদের শহীদ মিনারে গমন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ অব্ধি দীর্ঘ সময়ের অবস্থান।
বাঙালীর স্বাধিকারের আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা লাভ এবং বাংলা ভাষাকে বিশ্বমর্যাদার সর্বোচ্চ আসনে সমাসীন করার সামাজিক, রাজনৈতিক, প্রাতিষ্ঠানিক ও আন্তর্জাতিক ভিত্তিটি গড়ে দিয়েছিলেন সালাম, রফিক, জব্বার, মতিউরসহ নাম না জানা শহীদগন।
ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই ইন দ্যা ইউকে, এ আন্দোলনের গোড়াপত্তন, এ মহান কর্মটিকে তরান্বিত করা, সাফল্যের দিকে ধাবিত করা, অভীষ্ট লক্ষ্যে গমন ও চুড়ান্ত সাফল্য অর্জন এবং শহীদ দিবস পালনের ধারাবাহিকতাকে বজায় রাখার সংগ্রামে নগর, শহর-বন্দর, গ্রাম-গঞ্জসহ বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে যারা ত্যাগ স্বীকার করে গেছেন ও করে যাচ্ছেন তাদের প্রতিও গভীর কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা জানাচ্ছে ডোয়াইউকে। শহীদ দিবস পালন কমিটি ও টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের যৌথ সুষ্ঠু আয়োজন ও তদারকীতে লন্ডনে কেন্দ্রীয়ভাবে দিবসটি প্রতিবছর পালন করা হয়ে থাকে। এজন্যে তারাও প্রশংসার দাবী রাখেন।
একুশে ফেব্রুয়ারীকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে পরিণত করার ভাবনা, প্রয়াস, কর্মকাণ্ড ও চুড়ান্ত সাফল্যে ব্যক্তিগত ও সমষ্ঠিগতভাবে যারা কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে অনবদ্য অবদান রেখেছেন, তাদের প্রতিও রইল ডোয়াইউকের অঢেল শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।
পুষ্পস্তবকটির প্রস্তুতির জন্য সিরাজুল বাসিত চৌধুরী, বিশেষ করে মিসেস সাঈদা চৌধুরীর প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়। শহীদ স্মৃতি অমর হোক।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...