“দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল”-এ এমসি কলেজ ছাত্রাবাসের গণধর্ষণ ও চাঁদাবাজি মামলা

সিলেট ব্যুরো অফিস,

  • প্রকাশিত: ১৮ মার্চ ২০২৫, ৭:০১ অপরাহ্ণ

সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে সংঘটিত বহুল আলোচিত গণধর্ষণ ও চাঁদাবাজি মামলার বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে চলবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার (১৭ মার্চ) রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগের কাছে আবেদন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত জানালে সর্বোচ্চ আদালত তা মঞ্জুর করে। ফলে মামলাগুলোর বিচারের আর কোনো আইনি বাধা থাকল না।

বাদীপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আব্দুল কাইয়ূম লিটন জানান, হাইকোর্ট ২০২২ সালের ১৫ ডিসেম্বর মামলাগুলো দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করায় বিচার কাজ বিলম্বিত হচ্ছিল। আপিল প্রত্যাহার করায় এখন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলাগুলোর বিচার শুরু হবে।

২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে শাহপরান থানায় মামলা করেন। মামলায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীসহ আটজনকে অভিযুক্ত করা হয়। ধর্ষণ মামলার পাশাপাশি চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে পুলিশের পক্ষ থেকেও পৃথক মামলা দায়ের করা হয়।

২০২০ সালের ৩ ডিসেম্বর পুলিশ ধর্ষণ মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করে। এরপর ২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়। একইভাবে ২০২২ সালের ১১ মে চাঁদাবাজি মামলাতেও অভিযোগ গঠন করা হয়। তবে বিচার কার্যক্রমে বিলম্ব হওয়ায় বাদীপক্ষ উচ্চ আদালতে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের আবেদন করে, যা ২০২২ সালের ১৫ ডিসেম্বর হাইকোর্ট মঞ্জুর করেন।

বর্তমানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মামলাগুলোর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের জন্য গেজেট প্রকাশ করবে। গেজেট প্রকাশের পর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...