সব
স্বদেশ বিদেশ ডট কম
আদালতের কাঠগড়ায় চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য হাজি সেলিম। কথা বলার জন্য কাঠগড়ার কাছে যান তাঁর আইনজীবী প্রাণ নাথ রায়। কাঠগড়ার কাছে গিয়ে ওকালতনামায় স্বাক্ষর করার জন্য তাঁকে অনুরোধ করেন। এই কথা শোনার পরই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন হাজি সেলিম। রাগান্বিত কণ্ঠে চিৎকার শুরু করে দেন, যা শুনে এজলাসে উপস্থিত সবাই হতবাক হয়ে যান।
এ সময় কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খান, যারা হাজি সেলিমের সঙ্গে কথা বলছিলেন, আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “কারাগারে হাজি সেলিম অনেক সমস্যায় আছেন। তাঁর খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা ভালো নয়, এবং কারাগারে কেউ তাঁর সমস্যা বোঝে না।”
হাজি সেলিম তখন কাঠগড়ার লোহার রডে ডান হাত রাখেন এবং মুখ গম্ভীর করে থাকেন। আইনজীবী প্রাণ নাথ রায় ওকালতনামা তাঁর হাতে ধরিয়ে দিয়ে স্বাক্ষরের জন্য অনুরোধ করতে থাকেন। একসময়, হাজি সেলিম বাধ্য হয়ে স্বাক্ষর করেন।
আইনজীবী প্রাণ নাথ রায় পরে বলেন, “হাজি সেলিম কারাগারে ভালো আছেন না। তাঁর ডায়াবেটিস রয়েছে এবং খাওয়া-দাওয়ার সমস্যা হচ্ছে।”
তিনি আরও জানান, হাজি সেলিম এবং তাঁর ছেলে সাবেক সংসদ সদস্য সোলাইমান সেলিম কাশিমপুর কারাগারে বন্দী আছেন, কিন্তু একে অপরের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করতে পারেন না।
এদিন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিভিন্ন হত্যা মামলায় হাজি সেলিমসহ ১০ আসামিকে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দেন। এদের মধ্যে আছেন আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাবেক উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খান, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, এ কে এম শহিদুল হক এবং অভিনেত্রী শমী কায়সার।
Developed by:
Helpline : +88 01712 88 65 03