একটি দলকে সন্তুষ্ট করতে প্রধান উপদেষ্টা সময় বললে অন্যরা অসন্তুষ্ট হতো: সামান্তা শারমিন

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ৭:৩১ অপরাহ্ণ

বিএনপির সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সুনির্দিষ্ট নির্বাচনী সময় না দেওয়ার সিদ্ধান্তকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন।

নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, “যদি প্রধান উপদেষ্টা একটি নির্দিষ্ট সময়সূচি ঘোষণা করতেন, তবে তা শুধু বিএনপিকেই নয়, অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোকেও অসন্তুষ্ট করত। এমন পরিস্থিতিতে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাজের গুরুত্ব আরও বাড়ে।”

আজ বুধবার, রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায়, প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন বিএনপির প্রতিনিধিরা, যার নেতৃত্বে ছিলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা, যেমন জমিরউদ্দীন সরকার, মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এবং সালাহ উদ্দিন আহমদ। বৈঠকের পর মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, প্রধান উপদেষ্টা তাঁদের নির্বাচনের জন্য কোনো সুনির্দিষ্ট সময়সূচি দেননি; তবে তিনি জানিয়ে দেন, নির্বাচনটি ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে পারে। বিএনপি এই সময়সীমা নিয়ে সন্তুষ্ট নয় এবং তাদের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, যদি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন না হয়, তবে দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।

এ প্রসঙ্গে, সামান্তা শারমিন ফেসবুকে লেখেন, “আজ বিএনপি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করেছে। তারা বরাবরই বিএনপিকে গুরুত্ব দেয়, যদিও সেটা বৈষম্যপূর্ণ। তবে, আমরা ভবিষ্যতে একটি সুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে আপত্তি করছি না।” তিনি আরও বলেন, “যদি প্রধান উপদেষ্টা কোনো নির্দিষ্ট সময় ঘোষণা করতেন, তবে তা দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করত, বিশেষত যখন জাতীয় ঐকমত্য কমিশন নিরলসভাবে কাজ করছে।”

সামান্তা শারমিন আরও বলেন, “যদি জুলাই সনদের ভিত্তিতে নির্বাচনের সময় ঠিক হয়, তবে অন্তর্বর্তী সরকারকে নির্বাচন প্রক্রিয়ার রোডম্যাপ প্রস্তুত করতে হবে। এতে জনগণ জানতে পারবে, কোন বিষয়গুলোতে সব পক্ষ একমত হচ্ছে। কোনো দল যদি ঐক্যমত্যের অংশ না হয়, তবে তার জনসমর্থন কমে যাবে। তবে, ঐক্যমত্যের পর সবাই নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুত থাকবে।”

এদিকে, সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির এক নেতা মন্তব্য করেছিলেন, “এই সরকারের কোনো সংস্কার তাঁরা মানবেন না।” এই প্রেক্ষাপটে, সামান্তা শারমিন সতর্কতার সঙ্গে বলেন, “এতদিন পরে এসে এমন মন্তব্যের মধ্যে কিছু সতর্কতা থাকতে হবে।”

এছাড়া, ১৬ মার্চ এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস জানিয়েছিলেন, তাঁরা অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো সংস্কার সহজে মানবেন না; তবে যদি সংস্কার প্রয়োজন হয়, তাহলে সংশোধন করা হবে।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...