দুর্নীতি মামলায় খালাস পেলেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ৫ অক্টোবর ২০২৫, ৬:৪১ অপরাহ্ণ


ষোল বছর আগের অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় খালাস পেয়েছেন। গয়েশ্বরের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক কামরুল হাসান খান এ আদেশ দেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের আইনজীবী আলহাজ বোরহান উদ্দিন এ তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন। এদিন সকালে রায় শুনতে আদালতে হাজির হয়েছিলেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

এর আগে দুদক ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত ১৯ অগাস্ট আদালত রায়ের জন্য ২৮ অগাস্ট তারিখ দিয়েছিলেন। এরপরেও রায় ঘোষণার তারিখ পেছানো হয় কয়েক দফা।

২০০৯ সালের ৫ জানুয়ারি রমনা থানায় মামলাটি করেন দুদকের তখনকার উপপরিচালক এস এম মফিদুল ইসলাম।

মামলার বিবরণ অনুযায়ী, গয়েশ্বর তার সম্পদের বিবরণীতে দুটি বাড়ি দেখিয়েছেন, যার মধ্যে ঢাকার রায়ের বাজারের ছয়তলা বাড়ির নির্মাণ ব্যয় ৪০ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং কেরাণীগঞ্জে পৈত্রিক জমিতে বানানো বাড়ির নির্মাণ ব্যয় ১৫ লাখ ৪ হাজার টাকা দেখান। ব্যয়ের এই পরিমাণ গণপূর্ত বিভাগের হিসাবের চাইতে ২৫ লাখ ৩৬ হাজার ৫০৫ টাকা কম, যাকে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ হিসেবে চিহ্নিত করে দদুক। এছাড়া গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বাসায় ব্যবহার্য ৫৮ হাজার ৬০০ টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী পাওয়া যায়, যা তার ঘোষণা ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত।

এজাহারে বলা হয়, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ২০০৪-২০০৫ সালে ক্ষমতাসীন দলের নেতা হওয়ার সুবাদে প্রভাব খাটিয়ে আব্দুল মোনেম লিমিটেড ও রেজা কন্সট্রাকশনের কাছ থেকে ২ কোটি ৬১ লাখ টাকা নেন, যা তার অবৈধ অর্জন। তার বাড়ি নির্মাণ, ইলেকট্রনিক সামগ্রী এবং প্রভাব খাটিয়ে অর্জিত মোট সম্পদের পরিমাণ ২ কোটি ৮৬ লাখ ৯৫ হাজার ১০৫ টাকা।

এসব অর্থ-সম্পদ তিনি অবৈধভাবে অর্জন করেছেন বলে মামলায় বলা হয়।

তদন্ত শেষে ২০০৯ সালের ৫ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন এস এম মফিদুল ইসলাম । ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি গয়েশ্বরের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়। বিচার চলাকালে ৪৭ সাক্ষীর মধ্যে ২৯ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।

আসামির আত্মপক্ষ শুনানি, যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত থেকে গয়েশ্বরকে খালাস দিয়ে এদিন রায় ঘোষণা করা হল।

এই সম্পর্কিত আরও খবর...

Developed by: Web Design & IT Company in Bangladesh