গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে হামলা-সংঘর্ষে নিহত ২, গুলিবিদ্ধ আরও ৯ জন

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ১৬ জুলাই ২০২৫, ৭:২৯ অপরাহ্ণ

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষ ও সহিংসতায় দীপ্ত সাহা (২৫) ও রমজান কাজী (১৮) নামে দুজন নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আরও ৯ জনকে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক জীবিতেষ বিশ্বাস বলেন, তিনজনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়, যাদের মধ্যে দুইজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। অপর একজনের লাশ স্বজনেরা নিয়ে গেছেন বলে জানান হাসপাতালের একজন কর্মী।

নিহত দীপ্ত সাহার চাচা জানান, ‘দীপ্ত দুপুরের খাবার খেয়ে দোকানে যাচ্ছিলেন। শহরের চৌরঙ্গীতে তাঁর পেটে গুলি লাগে।’ নিহত রমজান কাজীর বাবা কামরুল কাজী বলেন, ‘আমার ছেলেটাকে মেরে ফেলছে। আমার ছেলে তো কোনো দোষ করেনি। আমি আমার সন্তানকে কোথায় পাব?’

এনসিপির নেতারা দাবি করেন, হামলায় নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের কর্মীরা জড়িত ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সমাবেশ শেষ হতেই একদল ব্যক্তি লাঠিসোঁটা নিয়ে নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনাবাহিনী সাউন্ড গ্রেনেড ও ফাঁকা গুলি ছোড়ে।

এ সময় এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী অভিযোগ করেন, ‘আমাদের বলা হয়েছিল সবকিছু ঠিক আছে, কিন্তু এসে দেখি পুরো পরিস্থিতি বিপরীত।’ তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশ ও সেনাবাহিনী নিষ্ক্রিয় ছিল।’

বেলা পৌনে ২টার দিকে হামলাকারীরা সমাবেশস্থলে ঢুকে মঞ্চে ভাঙচুর চালায়, ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে। পুলিশ সদস্যরা মঞ্চ ছেড়ে আদালত চত্বরে ঢুকে পড়েন। পরে জেলা পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশ ও এনসিপি নেতা-কর্মীরা ধাওয়া দিলে হামলাকারীরা পিছু হটে।

এরপর এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা সমাবেশ করেন। সমাবেশ শেষে ফেরার পথে আবারও হামলার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনাবাহিনী অভিযান চালায়।

এই সম্পর্কিত আরও খবর...

Developed by: Web Design & IT Company in Bangladesh