বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে অনুসন্ধানে বাধা নেই : দুদক

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ২৮ জুলাই ২০২৫, ৭:৩৫ অপরাহ্ণ

চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা ও সংগঠনটির সদস্যদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে, সে বিষয়ে অনুসন্ধানে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন। সোমবার দুপুরে সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চারজন নেতাসহ পাঁচজন সম্প্রতি চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে কারও কারও সম্পদের তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, যা দৃশ্যমানও। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে দুদকের মহাপরিচালক বলেন, ‘চাঁদাবাজির বিষয়টি দুদকের এখতিয়ার নয়। তবে যদি কেউ জ্ঞাতআয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে থাকেন, সেই বিষয়টি আমাদের এখতিয়ারভুক্ত। এই বিষয়ে যদি কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকে, সেই বিষয়ে অনুসন্ধান করতে আমাদের কোনো বাধা নেই।’

গত শনিবার রাতে রাজধানীর গুলশানে আওয়ামী লীগের নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির অভিযোগে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের মধ্যে রয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা মহানগর কমিটির আহ্বায়ক ইব্রাহিম হোসেন, সদস্য সাকদাউন সিয়াম ও সাদমান সাদাব এবং সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুর রাজ্জাক বিন সোলাইমান ওরফে রিয়াদ। রিয়াদ বর্তমানে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যও।

নোয়াখালীর সেনবাগের একটি অস্বচ্ছল পরিবারের সন্তান রিয়াদের বাড়িতে দালান নির্মাণ শুরু হওয়ায় এলাকাজুড়ে নানা আলোচনা চলছে। এর আগেও তার সম্পদ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল।

পুলিশ জানায়, ১৭ জুলাই গুলশানে শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন রিয়াদ, কাজী গৌরব ওরফে অপুসহ আরও কয়েকজন। সেই সময় বাসায় থাকা শাম্মী আহমেদের স্বামী আবু জাফরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তারা চাঁদা দাবি করে এবং তিনি পরে ১০ লাখ টাকা দেন। শনিবার রাতে বাকি টাকা নিতে গেলে পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার পাঁচজনের মধ্যে চারজনকে সাত দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত। অন্যজন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাকে টঙ্গীর কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।

এই সম্পর্কিত আরও খবর...

Developed by: Web Design & IT Company in Bangladesh