সব
স্বদেশ বিদেশ ডট কম

দেশের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম নির্বিঘ্ন ও সচল রাখার স্বার্থে চট্টগ্রাম বন্দর সংলগ্ন এলাকায় আরও এক মাস সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) গণবিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে। গণবিজ্ঞপ্তিতে সই করেন সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ।
চট্টগ্রাম বন্দর সংলগ্ন এলাকায় রাজনৈতিক, শ্রমিক ও সামাজিক সংগঠনের সব ধরনের মিছিল, সভা-সমাবেশ, মানববন্ধন ও পথসভায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ১০ অক্টোবর রাতে চট্টগ্রাম বন্দরের আশেপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশের ওপর এক মাস নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল সিএমপি।
এবার আরও এক মাস নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হল, যা ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকবে, চট্টগ্রাম বন্দর সংলগ্ন বারিক বিল্ডিং মোড়, নিমতলা মোড়, ৩ নম্বর জেটি গেইট, কাস্টমস মোড় ও সল্টগোলা ক্রসিংসহ বন্দর এলাকা।
সিএমপির গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বন্দর বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র এবং একটি সর্বোচ্চ শ্রেণির কেপিআই (কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা)। দেশের মোট আমদানি ও রপ্তানির সিংহভাগ কার্যক্রম এ বন্দর দিয়ে সম্পন্ন হয়।
‘দৈনন্দিন নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য, শিল্প কারখানার কাঁচামালসহ আমদানি ও রপ্তানিযোগ্য পণ্য পরিবহনের জন্য প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ হাজার ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, লং ভেহিক্যাল ও প্রাইম মুভার চট্টগ্রাম বন্দরে চলাচল করে।’
এই বিপুল যানবাহন চলাচলের কারণে বন্দরের আশেপাশে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখাকে ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ’ হিসেবে তুলে ধরে গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “কিন্তু বন্দর এলাকায় মিছিল, সভা-সমাবেশ, মানববন্ধন, পথসভা আয়োজনের ফলে যানজট সৃষ্টি হয়ে বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটে, যা জাতীয় অর্থনীতির জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এবং জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করতে পারে।”
চট্টগ্রাম বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ‘নির্বিঘ্ন ও সচল রাখার স্বার্থে’ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশ, ১৯৭৮ এর ৩০ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে গণবিজ্ঞপ্তিতে।