সব
স্বদেশ বিদেশ ডট কম
ধর্ষণের ঘটনা তদন্তে সিলেটে অবস্থান করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটি। মঙ্গলবার বিকেলে তদন্ত কমিটি এমসি কলেজের ছাত্রাবাসের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
তদন্ত কমিটির প্রধান মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকার পরিচালক কলেজ ও প্রশাসন অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী ছাড়াও রয়েছেন ওই বোর্ডের সহকারী পরিচালক কলেজ অধ্যাপক লোকমান আহমদ এবং সিলেট মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের আঞ্চলিক পরিচালক নূর এ আলম।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে সাড়ে ছয় মাস ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও ছাত্রাবাস কীভাবে খোলা থাকে? সেখানে ছাত্ররাও কী করে অবস্থান করে, তা খতিয়ে দেখা হবে।
তিনি বলেন, ধর্ষণের বিষয়টি মূলত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্ত করবে। আমরা কলেজ প্রশাসনের কোনো গাফিলতি, নিরাপত্তায় ঘাটতি ছিলে কি-না, সেসব বিষয় খতিয়ে দেখবো। এ নিয়ে কলেজ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলছি। লোকজনের সঙ্গে কথা বলছি। প্রয়োজনে নির্যাতিত তরুণীর সঙ্গেও কথা বলবো। কমিটি তিনদিনের মধ্যে প্রাথমিক ও এক সপ্তাহের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দেবে।
এর আগে বিকেল ৫টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি এমসি কলেজে এসে পৌঁছে। এসময় তারা প্রায় এক ঘণ্টা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ও কলেজ গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপর ছাত্রাবাসে যান তদন্ত কমিটির সদস্যরা। ছাত্রাবাসের নবনির্মিত ভবনসহ বিভিন্ন হল পরিদর্শন করেন। এসময় বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেন তারা।
তরুণী ধর্ষণের ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষও গণিত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আনোয়ারুজ্জামানকে প্রধান করে তিন সদসের তদন্ত কমিটি গঠন করে। ওই কমিটি সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার কথা।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হন এক তরুণী। রাত সাড়ে ৮টার দিকে এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় কলেজের সামনে তার স্বামীকে আটকে রাখে দু’জন।
এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটক রেখে নারীকে ছাত্রলীগের ছয়জন নেতাকর্মী গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ পেয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই দম্পতিকে ছাত্রাবাস থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরবর্তীতে ধর্ষণের শিকার তরুণীকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় শনিবার ভোর রাতে ৬ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২/৩ জনকে অভিযুক্ত করে নগরের শাহপরান থানায় এ মামলা (২১(৯)২০২০) দায়ের করেন ধর্ষিতার স্বামী। মামলায় এজাহার নামীয় আসামিরা হলেন— সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার উমেদনগরের রফিকুল ইসলামের ছেলে তারেকুল ইসলাম তারেক (২৮), হবিগঞ্জ সদরের বাগুনীপাড়ার মো. জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি (২৫), জকিগঞ্জের আটগ্রামের কানু লস্করের ছেলে অর্জুন লস্কর (২৫), দিরাই উপজেলার বড়নগদীপুর (জগদল) গ্রামের রবিউল ইসলাম (২৫) ও কানাইঘাটের গাছবাড়ি গ্রামের মাহফুজুর রহমান মাসুমকে (২৫)।
এছাড়া, ঘটনার পর অভিযানে নেমে সাইফুরের কক্ষ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পৃথক আরেকটি মামলা দায়ের করেন শাহপরান (র.) থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিল্টন সরকার। ছাত্রলীগ ক্যাডার সাইফুর রহমানকে আসামি করে মামলা (নং-২২(৯)২০২০) দায়ের করেন তিনি।
Developed by:
Helpline : +88 01712 88 65 03