বৃত্তির ৫১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা শিক্ষার্থীদের অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ৭ অক্টোবর ২০২০, ২:৩১ পূর্বাহ্ণ

মেধা ও সাধারণ বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের ২ লাখ ৭৭ হাজার শিক্ষার্থীর অ্যাকাউন্টে বৃত্তির ৫১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) দ্বিতীয় পর্যায়ে বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের টাকা জিটুপি পদ্ধতিতে বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। দ্বিতীয় পর্যায়ে বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের টাকা জিটুপি পদ্ধতিতে বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করতে ভার্চুয়াল মাধ্যমে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুকের সভাপতিত্বে এ অনলাইন সভায় আরও যুক্ত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

জানা গেছে, মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ২ লাখ ৭৭ হাজার ৮৫টি অ্যাকাউন্টে ইএফটির মাধ্যমে ৫১ কোটি ৩৬ লাখ ২৮ হাজার ৪৫০ টাকা জিটুপি পদ্ধতিতে পাঠানো হয়েছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির সেবা তথা ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল সবার কাছে পৌঁছে দিতে সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে । সরকারের ‘রূপকল্প-২০২১’-এর আলোকে ডিজিটাল বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে হলো অল্প সময়ে, কম পরিশ্রমে এবং স্বল্প ব্যয়ে মানুষের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছানোর নিশ্চয়তা প্রদান করা। এ লক্ষ্য অর্জনের লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সব বৃত্তি কার্যক্রম ডিজিটালাইজড করা হয়েছে। আগের গতানুগতিক ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের বৃত্তির টাকা পেতে বিভিন্ন ধরনের ভোগান্তির স্বীকার হতে হতো। সরকার জিটুপি পদ্ধতিতে ইএফটির মাধ্যমে বৃত্তির অর্থ সরাসরি শিক্ষার্থীর ব্যাংক হিসাবে পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে ভোগান্তির নিরসন করছে। এর ফলে শিক্ষার্থীরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদের বরাদ্দকৃত বৃত্তির টাকা পেয়ে যাবে এবং সরকারের অর্থ ও সময় সাশ্রয় হবে।

সরকারের রাজস্ব খাতভুক্ত প্রাথমিক সমাপনী, জেএসসি, এসএসসি, এইচএসসি এবং স্নাতক (পাস/সম্মান) পরীক্ষাসহ মোট চারটি ক্যাটাগরির শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেয়া হয়। প্রতি বছর মেধা ও সাধারণ বৃত্তি কোটায় এক লাখ ৬৯ হাজার ৬৫৯ জন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, উপজাতীয় উপবৃত্তি কোটায় ৮ হাজার ৭৬০ জন, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, অটিস্টিক উপবৃত্তি কোটায় এক হাজার ৭৩৫ জন এবং বিভিন্ন পেশামূলক উপবৃত্তি কোটায় ৭ হাজার ২৩০ জনসহ ঘোষিত বৃত্তির সংখ্যা এক লাখ ৮৭ হাজার ৩৮৪টি। এ ছাড়া প্রতি বছর আগে থেকে বিভিন্ন শ্রেণির চলমান বৃত্তির সংখ্যা ২ লাখ ৭২ হাজার ৫৬৯টি। প্রতি বছরে ৪ লাখ ৫৯ হাজার ৯৫৩ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি বা উপবৃত্তি দেয়া হয়।

গত ২২ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সাধারণ কলেজ, মেডিকেল কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বৃত্তিপ্রাপ্ত ৮৩ হাজার ৯৬৪ জন শিক্ষার্থীকে ১৭ কোট ৩২ লাখ ৭৬ হাজার ৩৬৫ টাকা সরাসরি তাদের ব্যাংক হিসাবে ইএফটির মাধ্যমে পাঠিয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এমএ খায়ের জানান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে সরকারের রাজস্ব খাতভুক্ত পিইসি, জেএসসি, এসএসসি, এইচএসসি ও স্নাতক (পাস/সম্মান) পরীক্ষাসহ মোট চারটি ক্যাটাগরির শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া হয়।

প্রতি বছর মেধা ও সাধারণ বৃত্তি কোটায় ১ লাখ ৬৯ হাজার ৬৫৯ জন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও উপজাতীয় কোটায় ৮ হাজার ৭৬০ জন, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী, অটিস্টিক উপবৃত্তি ১ হাজার ৭৩৫ জন, বিভিন্ন পেশামূলক উপবৃত্তি ৭ হাজার ২৩০ জনসহ ঘোষিত বৃত্তির সংখ্যা ১ লাখ ৮৭ হাজার ৩৮৪। এছাড়া প্রতিবছর আগে থেকে বিভিন্ন শ্রেণির চলমান বৃত্তির সংখ্যা ২ লাখ ৭২ হাজার ৫৬৯। চলমান ও ঘোষিত বৃত্তিসহ এক বছরে ৪ লাখ ৫৯ হাজার ৯৫৩ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি/উপবৃত্তি দেওয়া হয়।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...