৯ ঘণ্টা পর উত্তরের পথে ট্রেন

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ২০ ডিসেম্বর ২০২০, ২:০১ পূর্বাহ্ণ

দীর্ঘ ৯ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক হলো উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন যোগাযোগ। শনিবার সকাল ৬টায় জয়পুরহাট সদর উপজেলার পুরানাপৈল রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের সঙ্গে বাসের সংঘর্ষে ১২ জন নিহত হয়। এ সময় বাসটি দুমড়ে মুচড়ে যাওয়ায় ও ট্রেনটি লাইনচ্যুত হওয়ায় প্রায় ৯ ঘণ্টা বন্ধ ছিল ট্রেন চলাচল।

দুর্ঘটনার পর ভোগান্তিতে পড়েন বিভিন্ন স্টেশনের আটকে থাকা ট্রেনের যাত্রীরা। পরে পাবর্তীপুর ও ঈশ্বরদী থেকে দুটি উদ্ধারকারী ট্রেন গিয়ে উদ্ধার কাজ সম্পন্ন করলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, শনিবার ভোর ৬টার দিকে পার্বতীপুর থেকে রাজশাহীগামী লোকাল উত্তরা ট্রেন জয়পুরহাটে আসছিল। এ সময় জয়পুরহাট সদর উপজেলার পুরানাপৈল রেলক্রসিংয়ে কর্তব্যরত লাইনম্যান ঘুমিয়ে ছিলেন। এর ফলে জয়পুরহাট থেকে হিলিগামী বাঁধন এক্সপ্রেস যাত্রীবাহী বাসটি সেখানে পৌঁছলে ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে বাসটি দুমড়ে মুচরে গিয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান বাসের ১০ যাত্রী।

এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয় ৫ জন যাত্রী। তাদের উদ্ধার করে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বগুড়া মেডিকেলে নেয়ার পথে আরও ২ জনের মৃত্যু হয়। বাকিদের আবস্থাও আশঙ্কাজনক।

এদিকে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন- সদর উপজেলার হারাইল গ্রামের মামুনুর রশিদ (বাসচালক), চিত্রাপাড়ার নিশি মন্ডলের ছেলে রেজাউল করিম, হিচমী গ্রামের মানিকের ছেলে রমজান, কুঠিবাড়ী ব্রিজ এলাকার শরীফুলের ছেলে আব্দুল লতিফ, ক্ষেতলালের ইটাখোলা এলাকার মঙ্গলার ছেলে সুমন, পাঁচবিবি উপজেলার আটাপাড়ার মোশারফের ছেলে মুন্জুরুল নাসিম, জিয়ার মোড়ের মিরাজের ছেলে জিয়া হক, আটুল গ্রামের সরোয়ার হোসেন, আরিফুর রহমান রাব্বি, আক্কেলপুর উপজেলার চকবিলা গ্রামের দুদু কাজীর ছেলে সাজু মিয়া, নওগাঁর রানীনগর উপজেলার বিজয়কান্দি গ্রামের বাবুল ও টাঙ্গাইলের মাটিকাটা গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে জুলহাস।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম জানান, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে গেটম্যানের অবহেলার কারণে এ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

তিনি বলেন, দুর্ঘটনার কারণ খুঁজে বের করতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রেজা হাসানকে প্রধান করে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও আহতদের চিকিৎসার জন্য সর্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে এবং নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা দেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...