সব
স্বদেশ বিদেশ ডট কম
নানা নাটকীয়তার পর মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্বকাপের জন্য দল ঘোষণা করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। কিন্তু সেই দলে শেষ পর্যন্ত রাখা হয়নি তামিম ইকবালকে। তখন থেকেই চলছে নানা গুঞ্জন। নির্বাচকরা অবশ্য তামিমের ইনজুরির দোহাই দেন। তবে নিজের সঙ্গে ঘটে যাওয়া বিষয়গুলোকে ঠিকভাবে মেনে নিতে পারেননি তামিম। তার কাছে সবকিছুই বোর্ডের নোংরামি বলে মনে হয়েছে। তাই নিজে থেকেই তাকে দল থেকে বাদ দিতে বলেছিলেন তিনি।
বুধবার বিকেলে ৪ টায় স্বপ্নভঙ্গের বেদনার মধ্যেই টাইগার সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বার্তায় তামিম নিজের ফেসবুক পোস্টে দেয়া ভিডিও বার্তায় বলেন, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের পর মানসিকভাবে আমি খুব খুশি ছিলাম। গত চার-পাঁচ ম্যাচের যত বিষয় সব ভুলে গিয়েছিলাম। ম্যাচ শেষে আমার ইনজুরির অবস্থা ফিজিওকে জানাই। তখন ড্রেসিংরুমে নির্বাচকরা আসেন। আমি তাদের বলেছিলাম, আমার অবস্থা সামনে এমনই থাকবে। আমাকে দলে রাখলে বিষয়টি মাথায় রাখবেন। হোটেলে যাওয়ার পর আমাকে ফিজিও পর্যবেক্ষণ করেন।
কিউইদের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতে রেস্ট নেয়ার বিষয়ে দেশসেরা ওপেনার বলেন, শেষ ম্যাচটায় রেস্ট নিলে সেক্ষেত্রে আমার প্রস্তুতি ম্যাচের জন্য রিহ্যাভ হয়ে যেত এবং বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচও আমি খেলতে পারবো এমনটা ছিল রিপোর্টে। আমি কোথাও বলিনি যে, পাঁচটা ম্যাচ খেলবো বা পাঁচ ম্যাচ খেলতে পারবো। এটা মিথ্যা। জানিনা কিভাবে এটি মিডিয়াতে ছড়ানো হয়েছে। শুধু তিন নির্বাচককে জানিয়েছিলাম আমি ফিট না, দল ঘোষণার সময় যেন এটা মাথায় রাখেন।’
আমি নিশ্চিত কালকে নান্নু ভাইও কথাটা ক্লিয়ার করছে। আমি জানি না এই কথাটা মিডিয়াকে খাওয়ানো হলো বা কে করছে, কিন্তু এই জিনিস একদমই মিথ্যা। যে জিনিস আমি নির্বাচকদের বলেছিলাম যে আমার শরীর এরকমই থাকবে। এখন যেরকম অবস্থায় আছে। আমার ব্যথা থাকবে। আপনারা যখন দলটা নির্বাচন করবেন, তখন এটা মাথায় রাখবেন।
তামিম আরও বলেন, আমি কোনো কন্ট্রোভার্সি চাইনি। বিশ্বকাপের মাঝেও যেকোনো ঘটনা ঘটতে পারে, তাই যাতে কোনো ঝামেলা না হয় তাই আগেই জানিয়ে রেখেছিলাম।
বিসিবির পক্ষ থেকে মিডল অর্ডারে খেলার প্রস্তাবও দেয়া হয় বলেও জানান তামিম, বোর্ডের টপ লেভেল থেকে একজন ফোন করে আমাকে বললো, তুমি বিশ্বকাপে যাবা, কিন্তু তোমাকে তো ম্যানেজ করে খেলাতে হবে। একটা কাজ করো, তুমি প্রথম ম্যাচ খেলিও না। ‘‘আমি বলেছি, এখনো ১২/১৩ দিন সময় আছে। এই সময়ের মধ্যে তো আমি ভালো অবস্থায় থাকবো। তো কি কারণে খেলবো না? তখন বললো, ‘’আচ্ছা তুমি যদি খেলো তাহলে আমরা পরিকল্পনা করছি, তুমি নিচের দিকে খেলবা।
তাদের প্রস্তাব শুনে আমি তো অবাক, জিজ্ঞেস করলাম এটা কোন ধরনের কথা। এরপর বলা হলো মিডল অর্ডারে ব্যাটিং করানোর কথা। অথচ আমি ১৭ বছর ধরে এক পজিশনে ব্যাট করেছি। আমি জীবনে কোনদিন তিন-চারে ব্যাটিং করিনি। আমি যদি তিন চারে ব্যাট করতাম তাহলে মানিয়ে নেওয়ার মতো ছিল। আমার এরকম কোন অভিজ্ঞতা নেই। আমি এটা ভালোভাবে নেইনি। আমি উত্তেজিত হয়ে গিয়েছিলাম। আমি এটা পছন্দ করিনি। আমি মনে করেছি আমাকে জোর করে করে বাধা দেওয়া হয়েছে। আমি তখন, বলেছি, “দেখেন, আপনারা একটা কাজ করেন, আপনাদের এরকম চিন্তা ধারা থাকলে আমাকে পাঠিয়েন না। আমি নোংরামির মধ্যে থাকতে চাই না।
Developed by: Helpline : +88 01712 88 65 03