সব
স্বদেশ বিদেশ ডট কম
আজ সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। বহুল প্রতিক্ষীত ১০২ কিলোমিটার দীর্ঘ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন শনিবার (১১ নভেম্বর) উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম হয়ে সারা দেশের সঙ্গে রেলপথে সংযুক্ত হবে কক্সবাজার। এ ছাড়াও একই দিনে বহুল আলোচিত মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরসহ কক্সবাজারে আরও ১৬টি প্রকল্প উদ্বোধন করবেন তিনি।
শনিবার সকালে কক্সবাজারে প্রধানমন্ত্রীর যাত্রা শুরু হবে ঝিনুক আকৃতির আইকনিক রেলস্টেশনের উদ্বোধন দিয়ে। এরপর টিকিট কিনে তিনি ট্রেনে চড়ে রামু জংশন পর্যন্ত যাবেন। সেখানে বিকেলে মাতারবাড়ীর টাউনশিপ মাঠে বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন। দলীয় প্রধানকে বরণে ব্যস্ত সময় পার করছে আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্র জানায়, আইকনিক রেলস্টেশন ও রেললাইন ছাড়াও সমাপ্ত হওয়া ১৩টি প্রকল্প উদ্বোধন এবং তিনটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের জন্য ফলক তৈরি করা হয়েছে।
এদিকে, উদ্বোধনের অপেক্ষায় দেশের একমাত্র মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর। আজ বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সমুদ্রবন্দরের উদ্বোধন করবেন।
মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ প্রকল্প-সংশ্লিষ্টরা জানান, বঙ্গোপসাগর মালাক্কা প্রণালি হয়ে দক্ষিণ চীন সাগরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। তাই দক্ষিণ চীন সাগরের বৃহৎ অর্থনৈতিক দেশগুলো বিশেষ করে চীন ও জাপানের জন্য বঙ্গোপসাগরের গুরুত্ব সর্বোচ্চ। অন্যদিকে বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে রয়েছে বাংলাদেশের অবস্থান। জাপান ‘বিগ বি’ (বে অব বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ বেল্ট) যে বিশাল অর্থনৈতিক পরিকাঠামো চিহ্নিত করেছে, তা বঙ্গোপসাগরকে ঘিরেই আবর্তিত। জাপানের ‘বিগ বি’-এর অংশ হিসেবে মহেশখালীতে দেশে প্রথমবারের মতো নির্মিত হচ্ছে গভীর সমুদ্রবন্দর, বৃহৎ কয়লা-বিদ্যুৎ প্রকল্প, কোল জেটি এবং এলএনজি টার্মিনাল।
মাতারবাড়ী বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প ২০২০ সালের ১০ মার্চ একনেকের সভায় অনুমোদন দেয়া হয়। প্রকল্প মেয়াদ ধরা হয়েছিল ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
Developed by: Helpline : +88 01712 88 65 03