আজ ঢাকায় আসছে ইউউ প্রতিনিধিদল

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ১২ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৩৭ পূর্বাহ্ণ


চলমান শ্রমিকদের অসন্তোষের মধ্যেই শ্রম অধিকার, জিএসপি প্লাস সুবিধাসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করতে আজ রোববার (১২ নভেম্বর) পাঁচ দিনের সফরে আসছে ইইউর প্রতিনিধিদল। পাঁচ দিনের এ সফরে প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন ইইউর এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক পাওলা প্যাম্পালোনি।

সূত্র জানায়, প্রতিনিধিদল আগামী ১৫ নভেম্বর পররাষ্ট্রসচিব, বাণিজ্যসচিব ও শ্রমসচিবের সঙ্গে বৈঠক করবে। এছাড়া ইইউ প্রতিনিধিদলের সদস্যরা ঢাকা সফরকালে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।

সর্বনিম্ন মজুরি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধির দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের চলমান বিক্ষোভের মধ্যেই বাংলাদেশ সফর করছে ইইউ প্রতিনিধি দল। গত দুই সপ্তাহে এসব বিক্ষোভে তিনজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া প্রায় দুই ডজন মামলায় কয়েক হাজার শ্রমিককে আসামি করা হয়েছে।

শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবি দমাতে অনেক কারখানার মালিক ‘নো ওয়ার্ক নো পে’ পথে হেঁটে গতকাল একশোরও বেশি কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেছে। কিছু শ্রমিক অধিকার গোষ্ঠী নতুন নির্ধারিত সর্বনিম্ন সাড়ে ১২ হাজার মজুরি প্রত্যাখ্যান করে মজুরি আরও বাড়ানোর জন্য বিক্ষোভ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, শ্রম খাতের জন্য জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে ‘অগ্রগতি পর্যালোচনা’ করার লক্ষ্যে এই সফর।

এদিকে ঢাকায় পৌঁছার আগেই শ্রমিকদের বিরুদ্ধে পুলিশের হয়রানি ও সহিংসতার তদন্ত এবং শ্রমিকদের আন্দোলন ও ধর্মঘট কীভাবে শান্তিপূর্ণভাবে সামলাতে করতে পারে, সে বিষয়ে শিল্প পুলিশকে প্রশিক্ষণ দেয়াসহ জাতীয় কর্মপরিকল্পনার (এনএপি) বাস্তবায়নে বাংলাদেশের ধীর অগ্রগতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের এভরিথিং বাট আর্মস (ইবিএ) রিভিউ মিশন।

বাংলাদেশ শ্রম খাতে একটি জাতীয় কর্মপরিকল্পনা (২০২১-২০২৬) গ্রহণ করেছে এবং এই পরিকল্পনাটি আইএলও গভর্নিং বডির কাছে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক উপস্থাপিত রোডম্যাপের সাথে নিবিড়ভাবে জড়িত। রোডম্যাপের লক্ষ্য হল সংগঠনের স্বাধীনতা এবং সম্মিলিত দরকষাকষির অধিকারসহ দেশের শ্রম অধিকারগুলো উন্নতি করা।

গত মাসে রাষ্ট্রদূত হোয়াইটলি বলেছিলেন, বাজারে প্রবেশাধিকার, জিএসপি প্লাসের জন্য বাংলাদেশের আবেদন বিবেচনায় ইউরোপীয় পার্লামেন্ট এবং কমিশনের জন্য আন্তর্জাতিক মানের সাথে শ্রম আইনকে একত্রিত করা একটি ‘অপরিহার্য উপাদান’ হবে।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল কয়েক মাস আগে ব্রাসেলসে ইউরোপিয়ান এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসে (ইইএএস) পাওলা পাম্পালোনির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তারা ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরও গভীর করা, এভরিথিং বাট আর্মস (ইবিএ), শ্রমিক কল্যাণ ও অধিকার এবং পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

 

Print This Post Print This Post

এই সম্পর্কিত আরও খবর...