বাংলাদেশ সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিষদ গঠন ও চলমান সংকট নিরসনে গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে সাংবাদিক সম্মেলন

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ১২ অক্টোবর ২০২৪, ৫:৫৫ পূর্বাহ্ণ

প্রেক্ষাপট
বাংলাদেশ সেন্টার একটি সেবা মূলক দাতব্য প্রতিষ্ঠান। ১৯৭১ সালে এই ভবনটিতেই বিচারপতি আবু সায়ীদ চৌধুরী রাজনৈতিক অফিস প্রতিষ্ঠা করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পক্ষে পশ্চিমা বিশ্বের সমর্থন লাভের চেষ্টা করেছিলেন। স্বাধীনতার পর এই ভবনটিতেই বাংলাদেশের প্রথম দুতাবাস প্রতিষ্ঠা করা হয়। বাংলাদেশ দুতাবাস পরবর্তীতে অন্যত্র স্থানাšত্মর করা হলে এই ভবনটিতেই প্রতিষ্ঠিত হয় ঐতিহাসিক বাংলাদেশ সেন্টার। তাই বাংলাদেশ সেন্টার এবং এই ভবনটি বাংলাদেশ ও বাঙালী জাতির ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ বটে। এই প্রতিষ্ঠানটির অস্তিত্ব রক্ষা করা, এর মান-মর্যাদার হেফাজত করা সকল বাঙালির দায়িত্ব ও কর্তব্য। বিশেষ করে আপনারা, যাঁদের হাতে কলম রয়েছে, বাংলাদেশ সেন্টারের হৃত গৌরব ফিরিয়ে আনা, সেন্টারকে মর্যাদার আসনে পুনঃ প্রতিষ্ঠার করার ক্ষেত্রে আপনাদের ভূমিকা অপরিহার্য্য। আপনারা আমাদের শ্রদ্ধা ও সালাম গ্রহণ করুন।
প্রাসঙ্গিক ভাবে স্মরণ করছি তাঁদেরকে, যাঁদের অক্লাšত্ম পরিশ্রম ও অর্থায়নে এই প্রতিষ্ঠানটি গড়ে উঠেছে। তাঁদের মধ্যে যাঁরা মৃত্যু বরণ করেছেন তাঁদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।
শ্রদ্ধেয় সুধীজন, আপনারা জানেন যে বাংলাদেশের সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিষদ গঠন নিয়ে তুমুল বিতর্ক ও সংকট চলছে। মূল আলোচনায় যাওয়ায় আগে তাই আসুন এক নজরে দেখে নেই ব্যবস্থাপনা পরিষদ কি ভাবে গঠিত হওয়া উচিত আর বাস্তবে কি হচ্ছে।

সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশ সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিষদ গঠন নিম্নরূপ:
(সংবিধানের ২৮ ধারা ও উপ ধারা সমূহ দেখুন)
১. প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ১০ জন
২. কর্পোরেট প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ৪ জন
৩. স্থায়ী সদস্য ২০ জন
৪. আজীবন ও সাধারণ সদস্য (যৌথভাবে) ১৫ জন
সর্বমোট ৪৯ জন সদস্য নিয়ে গঠিত হয় এই ব্যবস্থাপনা পরিষদ। মেজরিটি লাভের জন্যে কমপক্ষে ২৫ জন সদস্যের সমর্থনের প্রয়োজন হয়। *প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও প্রতিষ্ঠাতা-কর্পোরেট সদস্য (১০ + ৪) মোট ১৪ জন সদস্যের সদস্য পদ সংবিধানের ৫, ২৮, ৩৭-৪০ ধারা উপ ধারা অনুসারে আমৃত্যু সংরক্ষিত। মৃত্যু কিংবা ৩২ ধারায় অনুপযুক্ত (disqualified) না হওয়া পর্যন্ত সংরক্ষিত। উল্লেখ্য চেয়ারম্যান পদ সংবিধানের ৫ ও ৪৪ ধারার অধীনে বাংলাদেশ হাই কমিশনারের জন্য সংরক্ষিত।
প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও প্রতিষ্ঠাতা কর্পোরেট-সদস্য এই মোট ১৪ জন সদস্য ছাড়া বাকি ৩৫ জন সদস্যদের মধ্যে:
ক) ২০ জন স্থায়ী সদস্য (Permanent membership) প্রতি ২ বৎসর অšত্মর দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভায় কেবল মাত্র স্থায়ী সদস্যদের ভোটে ২ বছরের জন্য নির্বাচিত হবেন।
খ) বাকি ১৫ জন আজীবন (life membership) সদস্য ও সাধারণ সদস্যের (General membership) যৌথ প্রতিনিধি সংবিধানের ২০, ২৮, ৩৭-৪০ ধারা ও উপধারা সমূহের অধীনে সকল সদস্যের ভোটে নির্বাচিত হবেন। এবং প্রথম বার্ষিক সভায় (AGM) তাঁদেরকে অবসর নিয়ে আবার একই নিয়মে নির্বাচিত হতে হবে, এবং একই ভাবে দ্বিবার্ষিক নির্বাচনেও (Biennial) নির্বাচিত হতে হবে।

ব্যবস্থাপনা পরিষদের (Council of Management) সভা আহ্বান ও পদ-পদবী বিতরণ:

সংবিধানের ৪২ ধারার অধীনে ১. চেয়ারপারসন
২. ব্যবস্থাপনা পরিষদের অধিকাংশ সদস্যগণ ব্যবস্থাপনা পরিষদের সভা আহ্বান করবেন,
৩. চেয়ারপারসনের বা অধিকাংশ সদস্যের পরামর্শে সাধারণ সম্পাদক ব্যবস্থাপনা পরিষদের সভা আহবান করতে পারবেন। সেই সভায় নুন্যতম উপস্থিতি সাপেক্ষে সংবিধানের ৪৪ ধারা অনুসারে উপিস্থিত সদস্যদের প্রদত্ব ভোটের ক্রমানুসারে:
ক) ৭ জন ভাইস চেয়রম্যান
খ) একজন সাধারণ সম্পাদক ও তিনজন যুগ্ম-সম্পাদক
গ) একজন প্রধান কোষাধ্যক্ষ ও ২ জন যুগ্ম- কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হবেন।
সংবিধানের ৪৫ ধারা উপধারায় কমিটি উপকমিটি গঠন ও চেক স্বাক্ষরকারী নিযুক্ত করণ এবং নির্বাহী কমিটি গঠন
ক) উপকমিটি ১-৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি, সেখানে অšত্মত একজন সদস্য সরাসরি বাংলাদেশ হাই কমিশন থেকে হাই কমিশনার নিযুক্ত করবেন।
খ) নুন্যতম দুই জন বা ততোধিক জনকে চেক স্বাক্ষর সহ অর্থনৈতিক স্বার্থ ও লেনদেন তদারকির দায়িত্ব প্রদান
গ) একটি নির্বাহী কমিটি সাত জন সসদ্য নিয়ে গঠিত হবে যেমন :
পদাধিকার বলে চেয়ারপারসন, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান, সাধারণ সম্পাদক ও প্রধান কোষাধ্যক্ষ এই চার জন নির্বাহী কমিটির সদস্য হবেন। সাথে আরো তিনজন সদস্যকে ব্যবস্থাপনা পরিষদের প্রথম সভায় নির্বাচিত করা হবে।
কমিটিতে সমন্বয়ক থাকবেন একজন যার ভোট দানের ক্ষমতা থাকবেনা।
ঐতিহাসিক নির্বাচন ও দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভা:
আপনারা জানেন যে, ২৬ নভেম্বর ২০২৩ সালে বাংলাদেশ সেন্টারের ইতিহাসে সর্ব প্রথম গোপন ভোটে:
১. কেবল মাত্র স্থায়ী (Permanent membership) মেম্বারদের ভোটে স্থায়ী মেম্বারদের ১৮ জন প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন, এবং
২. লাইফ বা আজীবন (Life membership) সদস্য এবং সাধারণ (General membership) সদস্যের সম্মিলিত ভোটে ১৭ জন প্রতিনিধি কেবলমাত্র লাইফ (Life) মেম্বারদের থেকে নির্বাচিত হন।
নির্বাচন কমিশনার ছিলেন: সর্ব জনাব আজিজ চৌধুরী, কাউন্সিলর শেরওয়ান চৌধুরী ও কাউন্সিলর আব্দাল উলস্নাহ।
প্রতিনিধি নির্বাচন ও শুভঙ্করের ফাকি:
উল্লেখ্য বাংলাদেশ সেন্টারের Articles of Association অনুযায়ী ২৬শে নভেম্বরের ২০২৩ সালের প্রেক্ষিতে নির্বাচন কাঠামো নিম্নরূপ হওয়া প্রয়োজন ছিল:
১. স্থায়ী প্রতিনিধি ২০ জন কেবলমাত্র স্থায়ী সদস্যের ভোট নির্বাচিত করা
২. লাইফ ও আজীবন সদস্যের উভয় গ্রূপ থেকে যৌথ ভাবে মোট ১৫ জন সদস্য সকল মেম্বারদের ভোটে নির্বাচিত করা
৩. কিন্তু টেম্পারিং বা ভোট প্রকৌশল প্রয়োগ করে স্থায়ী সদস্যদের প্রতিনিধি ২০ থেকে ১৮ তে ভৌতিক ভাবে নামিয়ে আনা হয়েছে। ফলে টেকনিক্যালি জনাব শানুর খান ও মো: এহসানুল হককে পরাজিত করা হয়েছে। এই ভাবে লাইফ ও জেনারেল মেম্বারদের সংখ্যা অন্যায্য ভাবে ২ জন বাড়িয়ে দিয়ে সেই সংখ্যা ১৫ থেকে ১৭ জনে উন্নীত করা হয়েছে ।
৪. অসাংবিধানিক ভাবে গ্রীন ও রেড প্যানেল ব্যানারে নির্বাচন করা হয়েছে যা চ্যারিটি কমিশন ও বাংলাদেশ সেন্টারের গভর্নিং দলিলের (Articles of Association) পরিপন্থি। কোম্পানি আইনে নির্বাচন সংক্রাšত্ম দলিল দ¯ত্মাবেজে যেমন হালনাগাদ ভোটার লিস্ট, মনোনয়নপত্র নির্বাচনী উপধারা প্রভৃতি সেক্রেটারি সাহেব নির্বাচন কমিশনকে যোগান দেবার কথা । আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনার জনাব আজিজ চৌধূরীর কাছে জিজ্ঞেস করে এর কোনো সমাধান পাইনি।
৫. দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভা শেষে এজেন্ডা বহির্ভুত ভাবে, মাননীয় ডেপুটি হাই কমিশনার এর আপত্তি সত্বেও অসাংবিধানিক ভাবে সাবেক সেক্রেটারি নিজেকে সেক্রেটারি ঘোষণা করেন। তাঁর যুক্তি হলো তাঁর দল লাল দল ১ জন প্রতিনিধি বেশি জিতেছে তাই গণতান্ত্রিক ভাবে যারা জয়ী হয় তারাই কমিটি গঠন করে। এই প্রথাই নাকি পূর্বে প্রচলিত ছিল। কি ছেলেমি কি হাস্যকর অনুযোগ!! অথচ সাংবিধানিক বিধান হলো নির্বাচিত প্রতিনিধিরা ব্যাবস্থাপনা পরিষদের প্রথম সভায় প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের ১০ জন প্রতিনিধি ও প্রতিষ্ঠাতা-কর্পোরেট সদস্যের ৪ জন প্রতিনিধিদের সাথে যোগ দিয়ে মোট ৪৯ জন কমিটি মেম্বার council of management এর প্রথম সভায় সংবিধানের ৪৪ ও ৪৫ ধারা উপধারা সমূহের আওতায় সেক্রেটারি সহ সকল পদ পদবি নির্বাচন করবেন। নির্বাহী কমিটি সহ সকল উপ কমিটি গঠন করবেন, তাই প্রথা পালনের নামে সেক্রেটারি ঘোষণার এই মহড়া শুধু হাস্যকরই নয় প্রাগৈতিহাসিক, অনৈতিক ও অসাংবিধানিক। ফলে এই নির্বাচন বাতিল যোগ্য (null and void)

নির্বাচন পরবর্তী ঘটনস্পঞ্জি:
নির্বাচনের অব্যবহিত পরেই আমি উপরিউক্ত বিষয়ের আলোকে ২রা ডিসেম্বর ২০২৩ সাল বাংলাদেশ সেন্টারের চেয়ারপারসন ও বাঙলাদেশের মান্যবর রাষ্ট্রদূতকে একটি লিখিত অভিযোগ প্রেরণ করি। নির্বাচন কমিশনকে যোগাযোগ করি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার জনাব আজিজ চৌধুরী অসুস্থ আছেন বলে আমায় জানালেন। কিন্তু জনাব শেরওয়ান চৌধুরী ও কাউন্সিলর জনাব আব্দুল উলস্নাহর সাথে প্রকৃত পক্ষে যোগাযোগের চেষ্ঠা সফল হয়নি।
মাননীয় রাষ্ট্রদূত ও উপ রাষ্ট্রদূত আমাকে উপদেশ দিলেন যে, যা হবার হয়ে গেছে, ভুলভ্রাšিত্ম থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা যেন পরবর্তী নির্বাচনটা সঠিক ভাবে করি। আমরা সকলে মিলে মিশে দুটো বছর যাতে একসাথে মিলে মিশে কাজ করি সেই পরসমর্শ দিলেন। আরো জানালেন যে সংবিধাসনের ৪২ ধারার আওতায় নোটিশ দিয়ে ৪৪ ধারা অনুসরণে পদ পদবি নির্বাচন হবে, নির্বাহী কমিটি ও উপকমিটি সমূহ গঠিত হবে।

মাননীয় রাষ্ট্রদূতের এই মহৎ উদ্যোগ রম্নখে দাঁড়ালেন জনাব দেলোয়ার হোসেন। জনাব হোসেনের কথা হলো তাঁকে সেক্রেটারি মেনে নিয়েই তবে মিটিং করতে হবে। তার মানে দাঁড়াচ্ছে “বিচার মানি কিন্তু তাল গাছ আমার”। এমনকি দেলোয়ার ভাই মাননীয় রাষ্ট্রদূতের অনুরোধ উপেক্ষা করে নিজেই ২৩ সালের ৫ই ডিসেম্বর অসংবিধানিক ভাবে ব্যবস্থাপনা পরিষদের মিটিং ঘোষণা করেন, আমি সেই মিটিং এর বিরম্নদ্ধে অবস্থান নেই। কারণ সাংবিধানিক ভাবে কোনো সাবেক বা বর্তমান সেক্রেটারি নিজের ইচ্ছায় কোন অফিসিয়াল সভা ডাকতে পারেন না। সংবিধানের ৪২ ধারা অনুসারে বিধান হচ্ছে:

১. চেয়ারপারসন মিটিং ডাকতে পারবেন
২. অধিকাংশ সদস্য (নূন্যতম ২৫জন) মিটিং ডাকতে পারেন
৩. চেয়ারপার্সনের অনুরম্নধে সেক্রেটারি মিটিং ডাকতে পারেন
৪. অধিকাংশ সদস্যের অনুরোধে সেক্রেটারি মিটিং ডাকতে পারেন

তাই আমি এই অসাংবিধানিক মিটিং প্রত্যাহারের অনুরোধ করি। ইতোমধ্যে ৪ঠা ডিসেম্বর মাননীয় রাষ্ট্রদূতের অফিস থেকে একটি নোটিশ সার্ভ করা হয়, বলা হয় ১৮ ডিসেম্বর ২৩ সাল মাননীয় রাষ্ট্রদূত সকল মেম্বারকে নিয়ে বাংলাদেশ সেন্টারের বিরোধ নিষ্পিত্তির জন্য একটি মিটিং ডেকেছেন। এই মিটিংটি ডাকার কারণে স্বাভাবিক কারণেই অন্য মিটিং যেমন দেলোয়ার হোসেন এর ডাকা মিটিং বাতিল হলো বটে (superseded)। তবে টেকনিক্যালি এই মিটিং ৪৪ ধারার ব্যাবস্থাপনা পরিষদের মিটিং ডাকার পরিবর্তে অনেকটা জেনারেল মিটিংয়ের আওতায় চলে আসে, তাই পরবর্তীতে দফায় দফায় আলোচনা সাপেক্ষে ৭ জানুয়ারী ২০২৪ সালে মিটিং করার জন্য নোটিশ পাঠানো হয়। তবে ৭ই জানুয়ারী ২০২৪ বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের কারণে মিটিং বাতিল করে ১১ই জানুয়ারী ২০২৪ তারিখ নির্ধারণ করা হয়। মাননীয় রাষ্ট্রদূতের অফিসে উভয় গ্রূপের সাথে পৃথক পৃথক বৈঠকের পর সিদ্ধাšত্ম হয় মাননীয় রাষ্ট্রদূত সাবেক সেক্রেটারি হিসেবে জনাব হোসেনকে নোটিশ সার্ভ করার অনুরোধ জানাবেন। তাই জনাব হোসেন ১১ই জানুয়ারী অনুষ্ঠিতব্য মিটিং এর নোটিশ পাঠান।

১১ই জানুয়ারী ২০২৪
নোটিশ অনুযায়ী সংবিধানের ৪৪ ও ৪৫ ধারা উপ ধারা অনুসারে কাউন্সিল অফ ম্যানেজমেন্ট, উপ কমিটি ও নির্বাহী কমিটি সমূহ গঠন করা হয়। চেক স্বাক্ষরকারীদের নাম ঠিক করা হয়। সভায় রাষ্ট্রদূত অনুপস্থিত থাকার কারণে সাবেক সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান জনাব মোহাম্মদ মুহিবুর রহমান মুহিব সভাপতিত্ব করেন।

সভায় মাননীয় রাষ্ট্রদূত উপস্থিত না থাকার কারণ অনুসন্ধান করে জানতে পারি জনাব হোসেন নির্বাচন উপলক্ষে বাংলাদেশে থাকার কারণে ১১ জানুয়ারীর মিটিং এর বিস্তারিত এজেন্ডা সার্ভ করা হয়নি। তাই বাংলাদেশ হাইকমিশনের পক্ষে জনাব দেলোয়ার হোসেনকে অনুরোধ করা হয়েছিল যেন ১১ জানুয়ারীর নির্ধারিত মিটিং বাতিল করে মীটিং এর তারিখ পরিবর্তন করে যেন ২২শে জানুয়ারিতে পুননির্ধারণ করা হয়। কিন্তু দেলোয়ার সাহেব সে নোটিশ কি কারণে সার্ভ করেন নাই তা আমার কাছে দুর্বোধ্য। ইতিমধ্যে একুশে উদযাপনের জন্য অনুমতি চেয়ে আমি মাননীয় রাষ্ট্রদূতের অনুমতি প্রার্থনা করি। দেলোয়ার সাহেবের পক্ষ থেকেও একই অনুরোধ পাঠানো হয়।

৯ই ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ হাই কমিশনে যৌথ মিটিং :
কমিটি গঠন ও পাল্টা কমিটি গঠন এবং মাননীয় রাষ্ট্রদূতের সকল অনুরোধ বার বার অমান্য ও অগ্রাহ্য করার কারণে মাননীয় রাষ্ট্রদূত বিরক্ত হয়ে বাংলাদেশে সেন্টারের চেয়ারপার্সনের পদ ছেড়ে দেবার কথা বলেন। তাই সেন্ট্রারের অন্যতম একজন প্রতিষ্ঠাতা জনাব সুলতান মোহাম্মদ শরীফের অনুরোধে ৯ই ফেব্রম্নয়ারি বাংলাদেশ হাই কমিশনে একটি যৌথ মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। উপস্থিত ছিলেন সর্ব জনাব সুলতান শরীফ, মান্যবর উপ রাষ্ট্রদূত হজরত আলী খান, দেওয়ান সাহেব, জনাব সানুর খান, মাহবুবুর রহমান, জনাব মুহিবুর রহমান মুহিব, জনাব আহাদ চৌধুরী ও জনাব মারম্নফ চৌধুরী। মীটিং এর সূচনায় মাননীয় রাষ্ট্রদূত বলেন আপনারা আমাকে চেয়ারপার্সন হিসেবে মর্যাদা দেখাচ্ছেন না তাই আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলে বাংলাদেশ সেন্টার থেকে অব্যাহতি নিতে চাই। আরো বলেন যে হাই কমিশনার একজন প্যাট্রন হিসেবেই থাকা উচিত। জবাবে সুলতান শরীফ বলেন এই ভবন বাংলাদেশ সরকারের অর্থানুকূল্যে কেনা হয়েছে, এই ভবন বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্যের সাথে জড়িত তাই এর সাথে হাই কমিশনার সম্পৃক্ততা থাকতেই হবে।

দীর্ঘ অফলপ্রসূ আলোচণার পর বিরোধ মেটানোর ভার সুলতান মোহাম্মদ শরীফের উপর অর্পণ করা হয়।
মিটিং এ আমাদের পক্ষে প্রস্তাব রাখি যে মাননীয় রাষ্ট্রদূত ৪২ ধারার অধীনে মিটিং ডাকবেন এবং ৪৪ ধারা মতে পদ পদবীর নির্বাচন হবে। সে ক্ষেত্রে আমরা যদি একটি পদবি নাও পাই তবুও এক সাথে কাজ করে যাব। জনাব দেলোয়ার সাহেব ৪৪ ধারার অধীনে নির্বাচণ করতে নারাজ, মাননীয় রষ্ট্রদূতের মিটিং আহ্বান করার ক্ষমতা নেই বলে জানালেন। দেলোয়ার সাহেব নিজেই মিটিং ডাকবেন তার কমিটির দুইজন ভাইস চেয়ারম্যানকে পদত্যাগ করিয়ে অন্যদেরকে সেই পদ দুটি দেবার চেষ্টা করবেন। একই ভাবে নির্বাহী কমিটি থেকে দুটি সদস্য পদ দিতে প্র¯ত্মাব করলেন। তাই মিটিং কোনো ইতিবাচক ফল ছাড়াই শেষ হয়।

মিটিংয়ে আমি অনুরোধ করেছিলাম আমরা যেন আমাদের জাতীয় দিবস গুলো একত্রে পালন করতে পারি। ফল হলো বিপরীত, কোন আলোচনা ছাড়াই দেলওয়ার সাহেব একুশের অনুষ্ঠানের ঘোষনা দিলেন। কেবলা মাত্র তাঁর পক্ষের লোকজনকে নিয়ে সেন্টারের ফান্ড খরচ করে একুশ উদযাপন করলেন। বাধ্য হয়ে আমরা কমিটির পক্ষে পুর্ব নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী একুশ উদযাপন করার প্রস্তুতি নেই, এ কথা জেনে জনাব দেলেয়ার সাহেব অনলাইনে সবাইকে এই অনুস্ঠানে না আসতে নির্দেশনা পাঠালেন। এমনকি আমরা যাতে সেন্টারে প্রবেশ করতে না পারি সেই জন্যে ক্ষমতার অপব্যাবহার করে সেন্টারের চিফ-এক্সিকিউটিভ জনাব মো হাফিজুর রহমানকে জোরপূর্বক অফিসে আসা থেকে বিরত রাখেন। জনাব দেলাওয়ার সাহেব নোটিশ সার্ভ করেন আমরা যদি ভবনে প্রবেশ করি তবে আমাদের বিরম্নদ্ধে ক্রিমিনাল অভিযোগ অনা হবে। এই সব কর্মকান্ডের আগে একবারও চিন্তা করেন নাই যে আমরাও এই সেন্টারের মেম্বার ও ট্রাস্টি। এবং এই সেন্টার এর ডিউটি অফ কেয়ার আমাদের সকলের।

যাইহোক সকল বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করেও আমরা সেই অনুষ্ঠানকে সাফল্য মন্ডিত করি।
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজনে যে শারীরিক অসুস্থতার কারণে সুলতান শরীফ সাহেব তার উপরে অর্পিত সেই সমঝোতা মিটিং করতে পারেন নাই।

সেন্টারের তালা পরিবর্তন, সিভিটিভি ফুটেজ ব্যক্তিগত মোবাইলে মনিটরিং:
আপনারা অবাক হবেন শুনে যে, এই ভবনের সকল দরোজার তালা পরিবর্তন করে আমরা যাতে ভবনে প্রবেশ করতে না পারি সেই ব্যাবস্থা নেয়া হয়েছে। CCTV অনুনোমোদিত ভাবে বসিয়ে ব্যাক্তিগত মোবাইলে মনিটোরিং করা হচ্ছে।  সেন্টারের security locker-এর চাবি অফিসের ভোল্ট থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অফিসের সমস্ত চাবির ডুপলিকেট নিজের বাড়ি ও গাড়িতে রাখার অভিযোগ প্রমানীত হয়েছে, যেমন জনাব দেলোয়ার সাহেবের গাড়ি থেকে বাংলাদেশ সেন্টারের চাবি হারিয়ে যাওয়া।

জন নিরাপত্তা ও ভবনের নিরাপত্তার স্বার্থে অনুনোমোদিত চাবি ভলান্টিয়ারদের কাছে থাকা, ভবনে যাতায়াতের রেকর্ড না রেখে ঐচ্চিক প্রবেশ জন নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। অফিসিয়াল ডকুমেন্টস যেমন ব্যাংক এর চেক প্রভৃতির নিরাপত্তার জন্য হুমকি বটে। এই সব অপব্যবহার অবিলম্বে বন্ধ হতে হবে।

যাই হোক মাননীয় রাষ্ট্রদূতের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় শেষ পর্যন্ত এপ্রিল মাসের ২৪ তারিখে বাংলাদেশ সেন্টারে একটি যৌথ মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। সেই মির্টিং এ আমরা আবারো ৪৪ ধারার অনুসরণে পদ পদবী নির্বাচন করে মতবিরোধ নিরসনের প্রস্তাব করি। আমাদের প্র¯ত্মাব জনাব দেলোয়ার সাহেব এবং তাঁদের সমর্থকরা প্রত্যাখ্যান করেন। বিষয়টি নিস্পত্তির জন্য দুই গ্রূপের প্রতিনিধি ও মাননীয় রাষ্ট্রদূত আলাদা ভাবে একটি বিকল্প প্র¯ত্মাব নিয়ে কথা বলি। আমরা ফোনে জনাব সুলতান শরীফের সাথেও কথা বলি। কিন্তু আবারো দেলোয়ার সাহেবদের অনমোনীয়তায় সফল হতে পারিনি। এক পর্যায়ে জনাব দেলোয়ার সাহেব ও জনাব তফজ্জুল মিয়ার অনুরোধে মাননীয় রাষ্ট্রদূত মিটিং মুলতবী করেন। এবং বিরোধ মিটানোর নিজ নিজ গ্রূপের সাথে পরামর্শ করে আমাদের মতামত তাঁকে জানাতে বলেন। আমি আমাদের গ্রূপের মতামত লিখিত ভাবে যথা সময়েই মাননীয় রাষ্ট্রদূতকে লিখিত ভাবে জানাই। কিন্তু আমাকে বলা হয় যে অন্য গ্রূপের পক্ষ থেকে যেহেতু কোনো মতামত পাওয়া যায়নি, তাই আপাতত মুলতবী মিটিং আহবান করা সম্ভব হচ্ছে না।

উল্লেখ করা প্রয়োজন উক্ত মিটিং এ মাননীয় রাষ্ট্রদূতের অনুরোধে আমরা একটি ঐক্যমতে আসি যে:
১. আমাদের এই সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কোন, মিডিয়াতে আমরা বক্তৃতা, বিবৃতি, ইন্টারভিউ, ব্যাংক, চ্যারিটি কমিশন, কোম্পানী হাউসে পরষ্পরের বিরম্নদ্ধে অভিযোগ অনুযোগ থেকে বিরত থাকবো
২. কোন মিটিং করবনা
৩. ২৮ এপ্রিল আহুত EGM (রিকুইজিশন মিটিং বাতিল করা হয়)
৪. ব্যাংক একাউন্ট স্থগিত রাখা, সেন্টারের চাবি ফেরৎ দান, CCTV footage মনিটারিং বিষয়ে আমার আনীত প্রস্তাবের action points পরে খতিয়ে দেখবেন বলে খুব সংক্ষেপে মিটিংকে আস্বস্থ করেন। অথচ মিটিং এ থাকা কালীন সময়েই জনাব বেবুল সাহেব বিভিন্ন মিডিয়াতে খবর ও মীটিংয়ের ছবি ও ফিচার পাঠান। যা মাননীয় রাষ্ট্রদূতের অনুরোধে ডিলিট করা হয়। এমতাবস্থায় আমরা মেম্বারদের অনূরোধে ডাকা EGM বাতিল করি। সকল প্রকার লেখা-লেখি ও মিডিয়াতে প্রচার ও প্রোপাগান্ডা থেকে বিরত থাকি।

ইতিমধ্যে খবর পেলাম জনাব দেলোয়ার সাহেব ১৩ই জুন ব্যাংককে ইন্সট্রাকশন দেন যে, নতুন কমিটি হয়েছে তাই ব্যাংক ম্যান্ডেট আপডেট করা হলো। যা আমাদের পিছনে ছুরিকাঘাতের মতই আমার কাছে মনে হয়েছে। তাই ২৬ জুনে ব্যাংককে আমাদের নির্দেশনা পাঠাই। ব্যাংক ম্যান্ডেট আপডেট করার জন্য বলি। ব্যাংক ম্যান্ডেট এ উলিস্নখিত নিয়ম অনুসারে জনাব মোহাম্মাদ মুহিবুর রহমান মুহিব ব্যাংক ম্যান্ডেটটি অনুমোদন করেন। ব্যাংক ম্যানেজারের সাথে পরে এক সাক্ষাৎকারে জানতে পারলাম ব্যাংক যখন বিষয়টি বাংলাদেশ সেন্টারের সাথে চেক করে, তখন জনাব দেলোয়ার সাহেব বিষয়টিকে forgery হিসাবে অভিহিত করেন।

উল্লেখ্য ১১ই জানুয়ারি আমরা ব্যববস্থাপনা পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ব্যাংক ম্যান্ডেট সাবমিট করি। সাংবিধানের ৪৫ ধারা ও উপধারা সমূহের আলোকে আমাদের নির্বাহী কমিটির কোঅর্ডিনেটর হিসাবে একজন নিরপেক্ষ জন ও সেন্টারের এক্সিকিউটিভ হিসাবে জনাব মোহাম্মদ মো. হাফিজুর রহমান সাহেবকে ম্যান্ডেট সাইন করতে অনুরোধ করি। জনাব রহমান রাজি হতে চাননি, কিন্তু সেন্টারের ফান্ড এর রিস্ক ম্যানেজমেন্ট এর স্বার্থে একজন অফিসার থাকা ব্যাংক একাউন্ট ও প্রতিষ্ঠানের জন্য খুব প্রয়োজন। এই ম্যান্ডেট সাইন করার কারণে মো¯ত্মাফিজুর রহমান সাহেবকে চাকুরী থেকে বাদ দেবার সিদ্ধাšত্ম নিয়েছেন জনাব দেলোয়ার হোসাইন। এই নোটিশ সার্ভ করার সময় মো. হাফিজ সাহেব খুব অসুস্থ ছিলেন। অসুস্থ অবস্থা থেকে সুস্থ হয়ে অফিসে গিয়ে দেখেন অফিসের তালা বদল করে ফেলা হয়েছে । এই বিষয়টি আমি মাননীয় রাষ্ট্রদূতের সাথে আলাপ করি, ম্যানেজমেন্ট কমিটির মিটিং এ তাঁদের এই অমানবিক অবৈধ সিদ্ধাšত্মকে বাতিল করি । বিষয়টির দ্রম্নত সমাধানের জন্য আমি মাননীয় রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ জানিয়েছি।

৮ই অগাস্ট ব্যাবস্থাপনা কমিটির একটি জরম্নরি মিটিং আমি আহবান করি বাংলাদেশ সেন্টারে। জনাব দেলোয়ার সাহেবও একটি মিটিং আহ্বান করেন এই দিনে। আমার উদ্দেশ্যে ছিল একটি যৌথ মিটিং করে কোন ভাবে একটি সমাধান খুঁজে বের করা। সেখানে গিয়ে দেখি দরোজায় চারজন সিকিউরিটি অফিসার দাঁড়ানো। মিটিং শুরম্নর আগে আমি সকলের কাছে অনুরোধ করি একটি সমঝোতা কমিটি করে বাংলাদেশ সেন্টারের বিরোধ নিস্পত্তি করে সবাই মিলে মিশে যেন কাজ করতে পারি । আলোচনার এক পর্যায়ে দুইজন মেম্বার এর মধ্যে উত্তপ্ত বাক বিতন্ডার এক পর্যায়ে একজন মেম্বার অন্যজনকে খারাফ ভাষায় গালি দিলে বিষয়টি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশ ডাকা হয় এবং মিটিং অফিসিয়ালি শুরম্ন করার আগেই শেষ করতে হয় ।

পরবর্তীতে মাননীয় রাষ্ট্রদূতের চেষ্টায় বাংলাদেশ হাই কমিশনে আরেকটি সমঝোতা মিটিং হয়। আমি প্রস্তাব করি সংবিধানের ৪২ ধারার মতে মাননীয় রাষ্ট্রদূত মির্টিং ডাকবেন। সেই মিটিং এ ৪৪ ধারার অধীনে পদ পদবি নির্বাচন হবে তাতে আমাদেরকে যদি কোনো পদ পদবি না দেওয়া হয় তবুও আমরা সমঝোতা মেনে নিব। কিন্তু আবারো জনাব দেলোয়ার সাহেব ও জনাব তোফাজ্জল সাহেব সেই চর্বিত চর্বন করতেই থাকলেন, এবং পুরানা কাসুন্দি ঘষতে ঘষতে শূন্য হাতেই মিটিং থেকে ফেরত এলাম। সমস্যা যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই রয়ে গেলো। গোদের উপর বিষের ফোঁড়ার মতো আরেক সমস্যা এসে যোগ হলো। কোন এক ক্যাঙ্গারু কোর্টের রায় হয়েছে কার যেন মেম্বারশীপ বাতিল হয়েছে ইত্যাদি, ইত্যাদি। এই প্রথম বার আমি হতাশ হলাম, কিন্তু মাননীয় রাষ্ট্রদূত নাছোড় বান্দা, আমাকে খুব জোর করলেন আমি যেন আমার বন্ধু তফজ্জুল মিয়া ও জনাব দেলোয়ার ভাইকে যেন আরেকবার কনভিন্স করার চেষ্টা করি। এবং ফলাফল জানাতে বলেস্নন। মাননীয় রাষ্ট্রদূতের পরামর্শ অমান্য করার মানসিক ক্ষমতা আমার ছিলোনা তাই আবারো দেলোয়ার ভাইকে ফোন করে বিফল চেষ্টা করলাম কিন্তু মাননীয় রাষ্ট্রদূতের স্বপ্ন পূরণ করতে ব্যর্থ হলাম। একটি টেক্সট পাঠালাম আপনি চলে যাবেন তবে আপনাকে খুব মিস করবো ।

বর্তমান পরিস্থিতি
১৪ই অক্টোবর মেম্বারশীপ এর পক্ষে একটি রিকুইজিশন EGM ডাকা হয়েছে। ঐদিকে আবার দেলোয়ার ভাই EGM ডেকেছেন ১৫ই অক্টোবর। আমি AGM ডেকেছি ২০শে অক্টোবর ২০২৪। সবাইকে অনুরোধ করি আপনাদের EGM গুলো বাতিল করে AGM এ আসুন, কারণ AGM due এখন, অএগ করা আবশ্যক। AGM এ আলোচনা করে আমাদের সকল বৈষম্য দূর করে সবাই মিলে বাংলাদেশ সেন্টারকে আবারো ঐতিহ্য মন্ডিত করি। মনে রাখবেন একতাই বল। দুটি বিশ্বযুদ্ধ সহ সকল যুদ্ধই শেষ হয়েছে আলোচণার টেবিলে, যুদ্ধের ময়দানে নয়।

প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুরা আপনাদের সহযোগীতায় আমরা কৃতজ্ঞ। ধন্যবাদ সবাইকে, খুব ভাল থাকবেন সবাই। বাংলাদেশ সেন্টারের সাথেই থাকবেন।

এই সম্পর্কিত আরও খবর...

Developed by: Web Design & IT Company in Bangladesh