সব
স্বদেশ বিদেশ ডট কম
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সংস্কারের বিষয়ে প্রস্তাবিত আইনগুলো আগামী দুই-এক মাসের মধ্যে করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থার চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাতের পর তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি জানান, ইতোমধ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে দুদক সংস্কার কমিশনের সব সুপারিশের পক্ষেই মোটাদাগে রাজনৈতিক দলগুলো নীতিগতভাবে একমত হয়েছে। আইন উপদেষ্টা বলেন, “দুর্নীতি দমন কমিশন বিষয়ক সংস্কার কমিশন কিছু প্রস্তাবনা দিয়েছে। প্রস্তাবিত আইনগুলো আগামী দু-এক মাসের মধ্যে করা হবে।”
গত বছরের ৫ অগাস্ট ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানের পর দেশের হাল ধরা অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগ নেয়। এর অংশ হিসেবে প্রথম ধাপে ৩ অক্টোবর গঠিত হয় নির্বাচনব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, দুর্নীতি দমন কমিশন ও পুলিশ সংস্কার কমিশন। ৬ অক্টোবর গঠিত হয় সংবিধান সংস্কার কমিশন।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামানের নেতৃত্বে আট সদস্যের দুদক সংস্কার কমিশন ১৫ জানুয়ারি প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের হাতে তুলে দেয়। প্রতিবেদনটি ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে সংবিধানের অঙ্গীকার, দুর্নীতি বিরোধী কৌশলপত্র প্রণয়ন, ন্যায়পাল প্রতিষ্ঠা ও কালো টাকা সাদা করার সুযোগ বাতিলের প্রস্তাবসহ ৪৭ দফা সুপারিশ অন্তর্ভুক্ত করে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, রাষ্ট্রীয় ও আইনি ক্ষমতার অপব্যবহার রোধে আইন প্রণয়নের সুপারিশসহ প্রায় সব সুপারিশের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলো নীতিগতভাবে একমত। এছাড়া দুর্নীতিবিরোধী ন্যায়পালের পদ, সরকারি সেবার অটোমেশন, রাজনৈতিক ও নির্বাচনি অর্থায়নের স্বচ্ছতা, কর ফাঁকি ও অর্থ পাচার রোধ, এবং বেসরকারি খাতের ঘুষ লেনদেন শাস্তির আওতায় আনার প্রস্তাবেও অধিকাংশ দল একমত পোষণ করেছে।