ইসির নির্বাচনের রোডম্যাপ চূড়ান্ত

স্বদেশ বিদেশ ডট কম

  • প্রকাশিত: ২৮ আগস্ট ২০২৫, ৪:৩৬ অপরাহ্ণ

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সূত্র জানায়, এ রোডম্যাপে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ, নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন এবং ভোটগ্রহণের অন্যান্য প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম সময়মতো শেষ করার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) দুপুরের পরই রোডম্যাপ ঘোষণা করতে পারে ইসি।

ইসির ঘোষণা অনুযায়ী, সংসদীয় আসনগুলোর সীমানা চূড়ান্ত করে গেজেট প্রকাশের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ১৫ সেপ্টেম্বর। দেশের ৩০০টি আসনের ভৌগোলিক সীমানা নির্ধারণ করে একই সঙ্গে জিআইএস (ভৌগোলিক তথ্য ব্যবস্থা) ম্যাপ প্রকাশ করা হবে ৩০ সেপ্টেম্বর। ইসি জানায়, ডিজিটাল জিআইএস ম্যাপের মাধ্যমে প্রতিটি আসনের সীমানা আরও স্বচ্ছ ও নির্ভুলভাবে তুলে ধরা সম্ভব হবে।

নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন

সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে নতুন রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধনের প্রক্রিয়া পুরোদমে চলছে। প্রাথমিক নিবন্ধনের শেষ সময় ১৪ সেপ্টেম্বর, আর কাগজপত্র যাচাই শেষে চূড়ান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে ৩০ সেপ্টেম্বর। এর মাধ্যমে নতুন রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি হবে।

কারাবন্দিদের ভোটাধিকার

কারাবন্দি ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে ইসি। ভোটের দুই সপ্তাহ আগে বিভিন্ন জেলখানায় ব্যালট পেপার পৌঁছে দেওয়া হবে, যাতে কারাবন্দিরাও ভোট দিতে পারেন। কমিশনের মতে, এটি নাগরিক অধিকারের গুরুত্বপূর্ণ সংরক্ষণমূলক পদক্ষেপ।

পর্যবেক্ষক সংস্থা ও তথ্য প্রচার

দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন ১৫ নভেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত করা হবে। নিবন্ধিত সংস্থাগুলো নির্বাচনের দিন ভোটকেন্দ্রে প্রতিনিধি পাঠাতে পারবে। পাশাপাশি নির্বাচন সংক্রান্ত তথ্য প্রচারে তথ্য মন্ত্রণালয়, আইসিটি মন্ত্রণালয়, টেলিযোগাযোগ দপ্তর, বিটিআরসি ও মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে সভা অনুষ্ঠিত হবে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে।

প্রশিক্ষণ ও সরঞ্জাম প্রস্তুতি

আজ (২৮ আগস্ট) থেকে শুরু হচ্ছে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম, যা চলবে ভোটের আগে পর্যন্ত। নির্বাচনী ম্যানুয়েল, নির্দেশিকা, পোস্টার ছাপা শেষ হবে ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন-সংক্রান্ত সব মালামাল সংগ্রহ ও বিতরণ শেষ হবে।

স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স চূড়ান্ত হবে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাজেট নির্ধারণ হবে ১৫ নভেম্বর। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুকূলে অর্থ বরাদ্দ বৈঠক হবে ১৬ থেকে ২০ নভেম্বর। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল প্রস্তুতি শেষ হবে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রথম বৈঠক ২৫ সেপ্টেম্বর, আর আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হবে ৩১ অক্টোবর। একই সময়ের মধ্যে আইসিটি-সংক্রান্ত সব কাজ সম্পন্ন করা হবে।

নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, “নির্বাচনের প্রতিটি ধাপ সময়মতো সম্পন্ন হচ্ছে। আমরা একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।”

এই সম্পর্কিত আরও খবর...

Developed by: Web Design & IT Company in Bangladesh